ঈশ্বরের বিশেষ করুণা। । ණුම් তাহাকে ঈশ্বরের বিশেষ দান বলিতে পারি। সাধারণ করুণা স্রোভ একটু একটু করিয়া সৰ্ব্বক্ষণ চলিতেছে, কিন্তু বিশেষ করুণ একবার বাণের স্তায় আসিয়া জীবন তোল । পাড় করিয়া দেয়, পুরাতন জঞ্জাল সকল ভাসাইয়া লইয়া যায়, নিদ্রিতকে জাগ্রত করে এবং মৃত আত্মাকে নবজীবন দান করে । প্র । ঈশ্বরের বিশেষ করুণা যদি সকলেরই জন্য, তবে সকলে ইহা বুঝিতে পারেন না কেন ? উ। যিনি আপনার জীবনে ঈশ্বরের বিশেষ করুণ হৃদয়ঙ্গম না করেন, তাহাকে তর্কদ্বারা বুঝান যায় না। বিশ্বাসী । ব্যক্তির নিকট ঈশ্বরের করুণার সকল ব্যাপার সুস্পষ্ট ও উজ্জল । তিনি প্রতিদিন যখন আহার করেন, তখন দেখেন । মা ছেলের মুখে দুগ্ধ দিয়া যেমন খাওয়ান, ঈশ্বর সেইরূপ প্রগাঢ় স্নেহের সহিত খাওয়াইয়া থাকেন। আমরা দেখি ন, তাই তাহার প্রতি কৃতজ্ঞ হই না। পীড়ার সময় মা এক ঘটা জল দিলে তাহাকে দেখিয়া কত ভক্তি হয়। কিন্তু যদি অন্ধ হই, তাহার প্রদত্ত জল পান করি, অথচ তাহাকে দেখিতে পাই না বলিয়া তাহার প্রতি কৃতজ্ঞতা আইসে না । ইহাতে মাতার দোষ নাই । ঈশ্বর সেইরূপ অলক্ষিত ভাবে আমদিগকে খাওয়ান, আমরা অন্ধ বলিয়া তাহার হস্ত দেখি না। সকল ঘটনার মধ্যে র্তাহার করুণার কল চলিতেছে। আমাদের প্রতি মাতার স্নেহ এত প্রবল কেন ? তিনি স্নেহ করিবার সময় কেন তর্ক যুক্তি আনিয়া বিলম্ব করেন না ? মাতার হাতে যেমন ঘটী, মাতা সেইরূপ ঈশ্বরের হাতের কল, তিনি স্নেহ ন৷
পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/১৫৭
অবয়ব