(۹ سا) হইতে আসিয়া উপহার হৃদয় অধিকার করিল ; এবং সে স্নেহ আমার এত উপযোগী কে করিয়া দিল, এ সকল কথা চিন্তা করিলে কি আর ঈশ্বরকে বুঝিবার বাকি থাকে ? আবার দেখি জননী আমার শরীর পোষণ জন্য স্তন্য দান করেন। সে স্তন্যের প্রতিও তাছার কোন কর্তৃত্ব নাই । যখন র্তাহার শরীর কয় ছয়, অথবা শারীরিক অবস্থার কোন ব্যতিক্রম ঘটে, তখন ইচ্ছা ও যত্ন করিয়া জননী স্তনে দুর্থ আনয়ন করিতে পারেন না ; আবার যখন সুস্থ ও সবল শরীরে থাকেন, তখন আপন হইতে এত দুগ্ধ প্রবাহিত হইয় পড়ে যে সেই প্রবল দুগ্ধপ্রবাছ নিবারণ করিঙে না পারিয়া অনেক সময় তাহাকে পীড়ার হস্তে পড়িয়া কঠোর যন্ত্রণ সহ করিতে হয় ; যখন দেখি স্তন্য দুগ্ধের প্রতি জননীর নিজের কোন ক্ষমতা চলে না, এবং কেবল অামার জীবন রক্ষার উপায় ভিন্ন অন্য কোন প্রয়োজনেও আইসে না, তখন সেই স্তন্যের অষ্টা স্নেহময় পিতাকে না বুঝিয়। আর থাকিতে পারি না। শিশুকাল অতিক্রম করিয়া বুদ্ধির কিঞ্চিৎপরিপাক হইল, বয়ঃক্রমও কিঞ্চিৎ বৃদ্ধি প্লাইল, এখন জননীর নিকট হইতে ক্রমে২ সংসারের দিকে চলিলাম, সম্মুখে বিস্তৃত পরিবার। তন্মধ্যে প্রথম পিতাকে পরম পিতার প্রতিনিধিরূপে প্রাপ্ত হইলাম। আমার মুখের জন্য পিতা কত ক্লেশ বহন করেন, কত সত্ব করিয়া আমার জন্য আছার ও পরিচ্ছদ যোগাইয়।
