পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৯৩ } হইতে পারে মা । আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি, ইছ নানাবিধ সুগন্ধ দুর্থন্ধের আধার। এখানে নাসিক ন ছুইলে এক মুহূৰ্ত্তও চলে না । মাসিক বিবরযুক্ত না হইলে ঐরুপ গন্ধ প্রবাহ পরিচালিত হওয়া অসম্ভব ছইত । আবার ঐ নাসিক বিবর যদি রোমযুক্ত না হইত, বায়ুকে বিশোধিত করিয়া কে অভ্যন্তরে লইয়া যাইত ? প্রত্যেক বায়ুপ্রবাছে ধূলিপ্রভৃতি অনিষ্টকর পদার্থ অভ্যন্তরে নীত হইয়া প্রাণবিনাশ হইত। মাসিক যে স্থানে আছে, এরূপ স্থান ভিন্ন মনুষ্য এক বিকটাকার জন্তু হইত। বিনা কৰ্ত্ত ও বিনা চিন্তাতে কি এমন সুন্দর ও উপযোগী সাধন প্রস্তুত হইতে পারে ? ইছার পর রসন । রুসনাও এক অপূৰ্ব্ব কৌশল । ইহাতে বস্তু নিক্ষিপ্ত হইবা মাত্র তাছার কটুত্ব, তিক্তত্ব, অম্লত্ব, মধুরত্ব প্রভৃতি গুণ বাছির হইয়া পড়ে ; সুস্বাদ কি বিস্বাদ কি অবধারিত ছয় । আপাততঃ দেখিলে জিহবাকে এক খণ্ড পেশীময় মাংসফলক বলিয়া বোধ হয়। কিন্তু উছার আশ্চৰ্য্য শক্তির প্রতি মনোনিবেশ* করিলে নিয়ন্তার বিচারশক্তি, নিয়ন্তীর মঙ্গল ইচ্ছা, নিয়ন্তার উচ্চ অভিপ্রায় •বুঝিবার কিছু মাত্র অবশিষ্ট থাকে না । সমস্ত শরীরই চৰ্ম্ম, মাংস, পেশী ও ঝিল্লী প্রভৃতি উপাদানে নিৰ্ম্মিত, কিন্তু জিহাতে তেমন গুণনিৰ্ব্বাচক শক্তি কোথা হইতে আসিল ? শরীরের জন্য স্থানেই বা তাদৃশ শক্তি দৃষ্ট হয় না কেন ?