পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( Sog ) বস্তু দেখিতে পায় না, আপন অন্তর নিহিত ক্ষুধা তৃষ্ণাকেও সে অতিক্রম করিতে পারে না, অথচ সে ক্ষুধা তৃষ্ণকে তাছার দেছের নিতান্ত উপযোগী বলিয়া বুঝিতে পারে ; তখন সে আপনাকে নিঃসম্বল ও অসহায় জানিয়া ঈশ্বরের শরণাপন্ন হয় । এ সকল বিষয়ে প্রমাণের অভাব নাই | জগতে মনুষ্যচরিত্র পাঠ করিলে ইহার অসখ্য প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় । আমাদিগের অন্তরে যে নির্ভরের ভাব আছে, যদি তাছার প্রতি মনোযোগ করি; তাছ ছইলেও বুঝিতে পারি মনুষ্য এক মুহূৰ্ত্তও ঈশ্বর ভিন্ন বঁচে না । অতি বাল্যে জননীর প্রতি, তৎপর জনকের প্রতি, তার পর গুৰুর প্রতি মনুষ্য নির্ভর করিয়া বঁাচে ; কিন্তু যখন ইহুদিগের ক্ষমত, ইহুদিগের বল, ইহাদিগের বুদ্ধি ও বিচারশক্তির পরিমাণ জ্ঞানিতে পাইয়া স্পষ্ট বুঝিতে পারে যে ইছারা সকল প্রকার বিপদে আমাদিগের সহয়ত ইচ্ছা থাকিলেও করিতে পারে না, তখনই সকল আশ্রয় ছাড়িয়া মনুষ্য দৌড়িয়া ঈশ্বরের চরণতলে উপস্থিত হয়। মনুষ্য কখন নিরাশ্রয়ে অবস্থান করিতে পারে না। অতীন্দ্রিয় ঈশ্বরকে কিরূপে, অনুভব করা যায়, কি উপায়ে উছাতে অটল বিশ্বাস স্থাপন করা যায় তাহ প্রদর্শিত হইল। ঈশ্বর কিরূপ? উাহার লক্ষণ কি? এ সকল বিষয়ে কিছু বলা হয় নাই। এ সকল বিষয় বিশেষ করিয়া লিরিবার এ স্থান নছে। উপাসনাতত্ত্ব