পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २ ) প্রবিষ্ট হইলে এবং ইহার প্রকৃতিগত বিষয়গুলি সুন্দরব্রুপে পৰ্য্যালোচনা করিলে, ইহার বিপরীত ভাব অর্থাৎ সহজপালনত্ব অনায়াসে হৃদয়ঙ্গম হইতে পারিবে । ধৰ্ম্ম প্রকৃত্তিসম্ভূত। যে ব্যক্তি প্রকৃতি পরিত্যাগ করবে, সে অবশ্যই বল প্রয়োগ করিবে, নতুবা পরিবে না। ধৰ্ম্মপালন যে সহজ তাহা পরে ক্রমে ক্রমে প্রমাণ করিবার চেষ্টা করা যাইবে । এখন প্রকৃত প্রস্তাবের অনুসরণ করা যাউক । ধৰ্ম্ম মনুষ্যের জীবনসৰ্ব্বস্ব, ধৰ্ম্মই মনুষ্যের মনুষ্যত্ব, ধৰ্ম্মই মনুষ্যের দেবত্ব, ধৰ্ম্মই মনুষ্যের পরম সম্পদ, ইহ পূৰ্ব্বে প্রদর্শিত হইয়াছে। ধৰ্ম্ম মনুষ্যজাতির একটি উন্নতিশীল গরিমা । মনুষ্য যত যত্ন করিবে, এই গরিমার উন্নতি হইবে । সকল বস্তুরই উন্নতির সীমা আছে ; কিন্তু মনুষ্যের ধৰ্ম্মোন্নতির সীমা নাই। কেন না মনুষ্যজাতিকে স্থিনি উন্নতি প্রদান করেন, র্যাহাকে লইয়া ধৰ্ম্মের উন্নতি, তিনি অনন্ত । এখন জানা আবৃশ্যক, মনুষ্যের এই অপরিহার্ঘ্য গৌরবের স্বরূপ কি ? কি কি লক্ষণ জানিলে ধৰ্ম্মকে স্বরূপতঃ অবগত হওয়া যায়? প্রকৃতিসদ্ভূত কায্যের নাম ধৰ্ম্ম, ইট স্থল কথা । ইহা দ্বারা ধৰ্ম্মের স্বরূপ জানা যায় না, কেবল ভাবমাত্র গ্রহণ করা যাইতে পারে। প্রকৃতিমূলক কাৰ্য্য একটি বা দুইটি নহে, কিন্তু,অনেক। একটি মাত্র ভাব দ্বারা.অনেকগুলি বিষয়, পরিগ্রহ করা যায় না। ধৰ্ম্মের পৃথক পৃথক