পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( & ) মনুষ্য প্রভুর সেই দান পাইয়া সমস্ত জগতের মধ্যে অতিপ্রতাপশালী হইল। মনুষ্য তুলনা করিয়া বুঝিল যে প্রভুর রুপাতে সে সমুদায় স্থষ্টির প্রধান হইয়াছে । তখন সে র্তাহার অসীম মহিমা ও প্রভাব দর্শন করিয়া কৃতজ্ঞতাতে অবনত হইল এবং তঁাহীর নিকট প্রণত মস্তকে স্বীকার করিল “হে প্রভো ! আমি চিরকাল তোমার আদেশ পালন করিব । আমার প্রতি অনুজ্ঞা কি তাহ প্রকাশ কর ।” তখন প্ৰভু প্রসন্নতাপ্রদর্শনপূর্বক বলিলেন, “ বৎস! তোমাকে যাহা প্রদান করা হইয়াছে, তাহার সদ্ব্যবহার করিও । আর মনে রাখিও তোমার কিছুই ছিল না ও নাই। যাহা কিছু সম্পদ সমুদায় আমার । এ সকল আমার সম্পদ জানিয়া যত্বপূর্বক রক্ষা করবে। সাবধান ! তুমি যাহ। পাইয়াছ তাহার সীমা আছে, সেই সীমা অতিক্রম করিলে কষ্ট পাইবে। আর সীমার মধ্যে থাকিয়া প্রার্থনা করিলে । আমি তোমাকে আরও অনন্ত কাল দ্বান করিব।” মনুষ্য বিনীত ভাবে “এই আজ্ঞা পালন করিব ’ বলিয়া স্বীকার বা অঙ্গীকার করিয়াছে। এখন সেই মনুষ্য যদি সেই আজ্ঞা পালন না করে, তবে সে জন্য সে প্রভুর নিকট অবশ্যই ,দায়ী । মনে কর, প্রতুর রূপায় তোমার অস্তরে একটা প্রেমের ভাওরি স্থাপিত হইয়াছে, তাহাতে স্থিত বস্তুর পরিমাণ অতি অল্প। এমত অবস্থায় তুমি যদি অপরিণামদর্শী