পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ২১ ) চলিতে পারে, কিন্তু চিরকাল মহে । যখন অভাবের প্রবল উত্তেজনা উপস্থিত হয়, তখন মনুষ্য একেবারে দিশ৷ হারা হইয় পড়ে। এই সময়ে সে তাহার হৃদয়জাত মহারোগের প্রকৃত চিকিৎসক ঈশ্বরকে ভুলিয়া বিষয়ের পশ্চাৎ ধাবিত হয়। পূৰ্ব্বে যে সামান্য সংসারক্ষতি চিত্ত করিয়া ব্যাকুলিত হইয়াছিল, এবং উপযুক্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হইতেও কুষ্ঠিত ছিল, এখন সে অনুপযুক্ত লোকের হাতে সৰ্ব্বস্ব সমর্পণ করিয়া বাচিতে যায় । তখন বিষয় তাহার দুরবস্থার মধ্যে ভাহার বিনাশের মুযোগ অনুসন্ধান করে, এবং নানা প্রকার প্রলোভন দেখাইয়া তাহাকে আপনার বশীভূত করে। ষে ব্যক্তি চিকিৎসা করে, সে রোগের অবস্থা, ঔষধের শক্তি, এবং ঔষধ ও রোগের সম্বন্ধ কিছুই জানে ন, অথচ তাহার অর্থের বড়ই প্রয়োজন। সুতরাং সে অর্থ পাইৰার জন্য এবং সেই কারণে রোগীর চিত্তাকর্ষণ করিবার জন্য মিথ্য করিয়া আপন অভিজ্ঞতার ব্যাখ্যা করে। বিষয়সকলও সেই রূপ হতচেতন ও প্রজ্ঞাহীন মানবদিগকে আত্মগরিমা বিস্তার করিয়া ঈশ্বর হইতে দূরে লইয়া যায়। অতএৰ প্রকৃতি যাহা চায়, তাহাকে তাহ উপযুক্তরূপে প্রদান করিতে হইবে । যে ব্যক্তি কিছু না দিয়া প্রকৃতির গতি অবরোধ করিতে যায়, বালুক দ্বারা নদীবেগ অবরুদ্ধ করিবার চেষ্টার ন্যায় তাহার চেষ্টা উপহাসে পরিণত হয়।