পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( to ) আর কত দুৰ্গন্ধ মলমূত্রাদি হস্তে করিয়া ফেলিতেছেন ; এবং বলিতেছেন, “করুণাসাগর ঈশ্বর । আমার পুত্র ' অজ্ঞান, কিছুই বুঝে না । তুমি কৃপা করিয়া ইহার অপরাধ ক্ষমা কর ; এৰং পুত্রকে আরোগ্য দান কর। যদি এই পুত্র জীবিত থাকিয় অর্থোপার্জন করিতে না পারে, ন৷ পারিল । অন্ধ বা চিরকুল্প হইয়া ঘরে থাকুক, আমি ভিক্ষা করিয়৷ ইহাকে পালন করিব । জীবিত থাকিলে আমি দিনাস্তে অন্ততঃ একবার পুত্রমুখ দর্শন করিয়া মুখ হইতে পারিব।” প্রিয় ভ্রাতঃ ! দুই দিন পূৰ্ব্বে ঐ পুত্র ঐ জননীর বক্ষে পদাঘাত করিয়াছিল। সেই পদাহত জননী কি বলিতেছেন শুনিলে ? জননীর হৃদয় কেমন ক্ষমা ও স্নেহে পূর্ণ দেখিলে ? ঐ জননী যখন পুত্রকর্তৃক প্ৰহত হন তখন বলিয়াছিলেন, আর পাষণ্ড পুত্রের মুখাবলোকন করিকেম না। দেখ এখন সেই মূৰ্ত্তি কেমন স্নেহরঞ্জিত হইয়াছে। জননীর মুখে কি পুত্ৰকৃত সেই অসদ্ভাবের বিন্দু মাত্রও আভাস আছে ? ত্ৰাতঃ! ইহা জননীর গুণ নহে, জননীর স্নেহের গুণ—জননীর অতুল ক্ষমা ও কোমলতার গুণ—সে গুণ চ্ছেদন করিবার জননীর সাধ্য নাই । তাই তিন্সি পুত্ৰকৃত অপমান ৰিষ্কৃত হইয়া তাহার মঙ্গলচিস্তায় নিমগ্ন৷ রহিয়াছেন । কখন কখন ইহাও হইতে পারে, জননী কি জনক পুত্র