পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৬৯ ) পারলে, অন্যান্য ইক্রিয় সহজে আয়ত্ত হইতে পারে। কেম না মন সকল ইঞ্জিয়ের বৃত্তি-গ্রাহী হস্তস্বরূপ। মন যাহাতে নাই, ইন্দ্রিয় কখনও সেই বিষয় গ্রহণে সমর্থ হইতে পারে না। মনে কর তুমি লিখিতেছ, এমন সময়ে যদি মনে “অন্য চিত্তা প্রবেশ করে, তবে তোমার লিখিত বিষয় দূষিত হইবে । তোমাকে কেহ কিছু বলিতেছে, তুমি বক্তার মুখের দিকে তাকাইয়া শুনিতেছ, এমন সময়ে যদি তোমার মন অন্যাসক্ত হয়, তবে আর তুমি সে কথা শুনিতে পাইবে না । শুনিলেও মৰ্ম্মগ্রহণে সমর্থ হইবে না । কাজে কাজেই তখন তোমাকে পুনৰ্ব্বার সেই কথা বলিবার জন্য ৰক্তাকে অনুরোধ করা আবশ্যক হইবে ; এবং বক্তার প্রাথমিক পরিশ্রম তোমার মনোযোগের ক্রুটতে বিফল হইল দেখিয়া তোমাকে অত্যন্ত লজ্জা পাইতে হইবে। এই প্রকারে চিত্তা করিলে জানা যাইৰে যে সংসারে যত প্রকার কৰ্ত্তব্য আছে, জাহার প্রত্যেক কৰ্ত্তব্যে মনের একাভিমুখ্য বিশেষ প্রয়োজনীয়। মনের গতি বিশৃঙ্খল হইলে, অথবা এক সময়ে নানা বিষয়ে বিক্ষিপ্ত হইতে থাকিলে, সংসারে একটিও কাৰ্য্য সিদ্ধ হওয়া সম্ভব নহে। অতএব যখন তুমি চিত্ত৷ কৰুিবে বা কোন কাৰ্য্য কৱিৰে, তখন আপন লক্ষ্য হইতে ইক্রিয়গণের বিষয়ে প্রবৃত্তির কারণ মন শব্দটি চিরদিন চেতনাশক্তি/বৃত্তিবিশেষরূপে ব্যবহৃত হইয়াছে বলিয়া আমরাও এখানে মনকে ভাষার ব্যবহারানুযায়ী ব্যবহার করিলাম ।