পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( १७ ) প্রদর্শন করা প্রয়োজনীয়। কেন না স্থল বিষয়ের পর স্বল্প বিষয় বুঝিতে সহজ । মূৰ্ত্ত বস্তু মাত্রেরই প্রধান গুণ রূপ। এই রূপ দর্শনেত্রিয়ের বিষয়। আপাততঃ দেখিতে ৰোধ হয় রূপ দুই প্রকার। ” এক রূপ, দ্বিতীয় কুরূপ। বস্তুতঃ তাহা নহে, রূপের অভাবই কুরূপ। বস্তুর গঠনপ্রণালীর পারিপাট্য এবং বর্ণাদির ঔজ্জ্বল্য থাকিলেই তাহার নাম রূপ । এ স্থলে বর্ণের চিক্কণতার সহিত যদি গঠনের ভাব সঙ্গত হয়, তাহাই উৎকৃষ্টতা দ্যোতক হইবেক, কিন্তু নীল পীত কি লোহিতের সদ্ভাবানুসারে রূপ হইবে না । যদি নীলবর্ণ গঠনের প্রণালী অমুসারে ভাব সঙ্গত হয়, তাহাতেও রূপ হইবে । পীতবর্ণ যদি বিশুদ্ধভাবে প্রতিফলিত ছুয়, তাহাতেও রূপ হইবে। লোহিত বর্ণের বিশুদ্ধভাবে সংমিশ্রণ হইলেও তাহাই হইবে । সুতরাং কোন বর্ণ রূপের দ্যোতক, কোন বর্ণ রূপের রোধক হইবে না ; কিন্তু সকল বর্ণই রূপের দ্যোতক। ফল কথা, যদি গঠনের পারিপাট্য থাকে, তাহার সঙ্গে যদি চিকণতাপূর্ণ উপযুক্ত বর্ণ সংযোজিত হয়, তবেই রূপ হইবে । আর যে স্থলে রচনাপারিপাট্যের অভাব এবং বর্ণের চিকুণত ও ঔচিত্য নাই, তাহাই কুরূপ। .সুতরাং কুরূপ কিছু নয় ; রূপের অভাব হইলে তাহাকে কুরূপ বলা যায়। যে স্থানে রূপের সম্ভাব, সেই স্থানে দর্শ নেক্রিয় আসক্ত,যে স্থানে রূপের অভাব, সেই স্থানে বিরক্ত ।