পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( bులి ) চলা যায় না ; তাহা অপেক্ষা আরও কিছু অধিক সহি ফুক্তার প্রয়োজন। অধিক সহিষ্ণুতা লাভ করিবার প্রধান উপায় ব্যায়াম । ব্যায়াম দ্বারা শরীরের পেশী, শিরা, ধমনী প্রভৃতি সতেজ ও ধারণাশক্তি প্রাপ্ত হয়। রস, রক্ত, মেদ, মাংস, মজ্জা ও শুক্র প্রভৃতি শারীরিক উপাদান সকল ঘনীভূত হইয়া দীর্ঘারোগ্য ও দীর্ঘজীবন প্রদান করে । এই জন্য পূৰ্ব্ব কালে গৃহী, বানপ্রস্থ, যোগী, ঋষি সকলেরই মধ্যে ব্যায়ামশিক্ষার প্রথা প্রচলিত ছিল । যদি শরীর বলিষ্ঠ ও কার্যক্ষম হয়, কি সংসার কি তপস্যা সকল কাৰ্য্যসাধনেরই সুবিধা হইতে পারে * । শরীর অপটু হইলে, তপস্যা সস্তুত ক্লেশের ত কথাই নাই,

  • তপস্যা দ্বার। শরীরকে ক্ষীণ ও দুৰ্ব্বল করা শাস্ত্রসিদ্ধ অনেকে মনে করিতে পারেন । র্তাহারা গীতার এই শ্লোকটি সৰ্ব্বদা স্মরণে রাখিবেন, “কৰ্শয়ন্তঃ শরীরস্থং ভূতগ্রামমচেতস: মাঞ্চৈবান্তঃশরীরস্থং তান বিদ্ধ্যাকুরনিশ্চয়ান ॥” পাতঞ্জল দর্শনের ভাষ্যে বেদব্যাস যাহাতে ধাতুবৈষম্য উপস্থিত হয়, ইন্দ্রিয়সংযম জন্য এরূপ কুচ্ছ ব্ৰত পরিত্যাগ করিতে বলিয়াছেন । শরীর মন স্বাভাবিক অবস্থায় থাকিলে যে দৃশ দেখিয়া ষ্টক্রিয়বিকার উপস্থিত হওয়া দূরে থাকুক লজ্জা ও ঘৃণা উপস্থিত হয়, তাদৃশ দুশী দেখিয়া যে কোন কোন পূৰ্ব্বতন কঠোরব্রত ঋষির পতন হইয়াছে, তাহার কারণ অন্যায়রুপে ধাতুকর্ষণ । র্যাহারা চিকিৎসাশাস্ত্র পাঠ করিয়াছেন তাহার এ কথার সভ্যতা বিলক্ষণ জানেন । *