পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৯০ ) চিত্তের সমস্ত সুভাবনাশক বিষয়ের বিষময় কোলাহল । শক ভাববাহী, শব্দ অভাববাহী । শব্দ মাধুর্য্যবাহী, শব্দ পারুষ্যবাহী । শব্দই ভয় বিষাদ, শোক মোহ, অহঙ্কার বিদ্বেষ, উদ্বেগ ও কলহ বহন করিয়া আনে। শব্দই আশ। ভরসা প্রীতি সদ্ভাব সুখ শান্তি আনন্দ ও আরাম প্রভৃতি । স্বৰ্গীয় ধনে হৃদয় পূর্ণ করে। আমরা সুস্থ মনে ও সুস্থ শরীরে থাকিলে শব্দই শরীরমনের সেই সুস্থত ভঙ্গ করিতে পারে। আবার অসুস্থ থাকিলেও শব্দই সুস্থত প্রদান করিতে সমর্থ হয় । ফলতঃ শব্দ হইতেই জীবন পাইবার আশা, শব্দ হইতে মৃত্যুর নিতান্ত সম্ভাবনা। অতএব এই শব্দ শ্রবণ করিতে শ্রবণেন্দ্রিয়কে নিয়মিত করা একান্ত কৰ্ত্তব্য ' যদি শ্রবণেন্দ্রিয়সংযম প্রয়োজনীয়, তবে তাহ সংযমের উপায়ও জানা প্রয়োজনীয়। অতএব জিজ্ঞাস্য হইতে পারে, শ্রবণেন্দ্রিয় সংযমের উপায় কি ? মে শব্দ সহজে মনকে বিকৃত করে—যে শব্দ হৃদয়ের অশান্তি ও উদ্বেগ বৃদ্ধি করে—যে শব্দ চিত্তের সমুদায় স্বাস্থ্য ও মাধুর্ঘ্য বলপূৰ্ব্বক কাড়িয়া লয়—যাহা সাধু জনবিগহিত পথ প্রদর্শন করে—তাই শ্রবণ করা অনুচিত । অশ্লীল সঙ্গীত, স্কুশ্রীলভগববৰ্দ্ধক গাথা, কাহারও অনুচিত নিন্দ, কোন দুরভিসন্ধিমূলক মন্ত্রণ, পরস্পর বিদ্বেষমূলক विर्शन, কোন শাস্ত্র কি সাধুর চরিত্র মন্দ বলিয়া পরিচিত করিবার জন্য যে বিতৰা হয় ভাই, আহাতে ক্টেল স্বাধপরতা