পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

చిరు করিলে দেখিতে পাই, সমস্ত জগতেই একটি আপেক্ষিক উৎকৃষ্টতার ভাব আছে। সাধারণ জড় রাজ্যের বিষয় আলোচনা করিয়াও তাছার মধ্যে আমরা এই আপেক্ষিক উৎকৃষ্টত দেখিতে পাইয়াছি। অগ্নি,বায়ু,জল,ধাতু,প্রস্তর ও • মৃত্তিক হইতে লতা গুল্মাদি উৎক্লষ্ট ও উন্নত। মহাৱক্ষ ও ফলরক্ষাদি গুল্মলতাপ্রভৃতি হইতে উৎকৃষ্ট। আবার সে দিন আমরা যে মাংসভোজী বৃক্ষের কথা শুনিয়াছি, তাহা যে সমস্ত রক্ষশ্রেণী হইতে উন্নত, তাহতে কোন সন্দেহ মাই। ইতঃপর প্রাণীদিগের মধ্যে অনুসন্ধান করিলেও এই আপেক্ষিক উন্নতির চিকু দেখিতে পাই । প্রাণীদিগের মধ্যে কীটজাতি সৰ্ব্বাপেক্ষ নিরুষ্ট। যে সকল কীট মনুষ্যের উদরে জন্মগ্রহণ করে, যাহারা পচা ক্ষত, কিম্ব দুর্গন্ধময় বাস্পমধ্যে জন্মে, তাছারা সকলেই এক রূপ । আবার বিছ প্রভৃতি সরীস্থপ তদপেক্ষ উৎকৃষ্ট । তদপেক্ষ টিকটকী, গিরগিটা, সাপ, গোসাপ প্রভৃতি উন্নত। এইরুপ উন্নতির স্রোত বানর ও বনমানুষে গিয় সীমা বদ্ধ হুইয়াছে। চেতন। পূৰ্ব্বে যে প্রাণের লক্ষণ বলা হইয়াছে, উছাকে জীবনী শক্তি বলা যায়। চেতনা তদপেক্ষ উচ্চ । চেতনাশক্তিবলে জীবগণ জাতে ইচ্ছামতে বিচরণ করিতে পারে; এবং এই জন্য উছারা পূৰ্ব্বতন পণ্ডিতবর্গের রূপায় মনুষের সঙ্গে সবর্গ প্রাপ্ত ইয়াছে।