পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8२ ) শক্তি না থাকা সম্ভব ; কিন্তু তাছা ছয় না । অণবীর আত্মাকে * সৰ্ব্বশরীরগামী বলিলেও দোষ হয়। কেননা তাহা হইলে তাছার নির্দিষ্ট বস্তুত্ব থাকে না । শরীরের কোন সামান্য অংশ অর্থাৎ হস্তপদাদি ছেদন করিলে সজীব থাকা অসম্ভব । অপিচ মস্তিষ্কের ক্রিয়াবিকর কি বিধানবিকণর ঘটলে, মনুষ্য মনুষ্যত্ব হইতে বঞ্চিত হয়। যে ব্যক্তির মস্তিষ্ক সুস্থ ও সক্রিয়, সে কেমন সুন্দর ? সে কেমন আশচর্য ভাবে সদসৎ নিৰ্ব্বাচন করিতে সমর্থ ? সে কেমন চমৎকার ভাবে জ্ঞানগর্ভ উপদেশ দিয়া লোকের হৃদয় মন আকর্ষণ করে ? আবার সেই ব্যক্তির মস্তিষ্ক বিরুত হইলে আত্মহত্য ও অগম্যাগমনপ্রভৃতি দুষ্কর্মের অনুষ্ঠান করিতেও সঙ্কুচিত হয় না। যখন শরীরের প্রধান অংশ মস্তিষ্ক বঁচাইয়। সামান্যাংশ হস্তাদির ছেদনে, মনুষ্যত্বের ব্যাঘাত জন্মে না ; এবং মস্তিষ্ক সুস্থ ও সক্রিয় থাকিলেই অগত্ম। বচিল, মস্তিষ্ক অসুস্থ ও বিরুত হইলেই আত্ম মরিল, তখন মস্তিষ্ককেই আত্মা বলিতে বাধা কি ? অর্থাৎ লোকে যাহাকে আত্মা বলে তাছা কোন বস্তু নছে ; কিন্তু মস্তিষ্কের গুণ। আবার বিজ্ঞানপ্রসাদে জনা যাইতেছে যে, কোন প্রকার জড়ীয় পরমাণু যন্ত্রযোগে মৃতপ্রায় দেহে প্রবেশ । করাইতে পারলে সেই মৃতপ্রায় দেহে পুনর্বার প্রাণ সঞ্চার হয়। যদি জড়ের অভাবে মনুষ্য জীবন হারাইল এবং জড়ের সংযোগসাধন ব্যতীত আত্মার অন্য প্রমাণ ন