পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ११ ) শক্তি দেখাইয়া আত্মার অস্তিত্ব অপ্রমাণ করিতে চেষ্টা করিতেন, এখন আর তাহ ধনে রাখিতে পারলেন না, হৃদয় ফাটির উঠিল ; দুই চক্ষু দিয়া দরদর ধারায় জল পড়িতে লাগিল, অথবা বাষ্পভরে কণ্ঠ অবৰুদ্ধ ছইল । ভায় নির্বক নিম্পন্দ ভাবে শোকের সমুদ্রে ডুবিয়া পড়িলেন । । প্রিয় ভ্রাতঃ ! এস, এখন আমরা একবার মৃত্যুশয্যায় শয়িত ব্যক্তিকে দেখিয়া আসি । দেখ ঐ যে ব্যক্তি মৃত্যুর করাল দ্ৰংষ্টাঘাতে ছটফট করিতেছেন, ইনি পূৰ্ব্বে সংসারমদে মত্ত হুইয়। অনেক পাপ করিয়াছেন। ইমি বাহিরে সৎকী বলিয়া ভাগ করতেন, গোপনে দুষ্কর্য করিতেন। অর্থলোভে মিথ্যা বলিতেন এবং চোর দস্থ্য প্রভৃতিকে কারাবাসের ভয় হইতে বাচাইতেন। লোকের নিকট বলিতেন, তিনি কেবল পরের উপকারের জন্যই জীবন উৎসর্গ করিয়াছেন। নরহন্তাকে মিথ্যা বলিয়া বঁাচাইতেন, লোকের নিকট পরোপকার ব্রতের মহিমা ঘোষণা করিতেন। আবার গোপমে পাপক্ষয়মানসে চান্দ্রায়ণ করিতেন, লোকের কাছে পুণ্য সঞ্চয়ের ইচ্ছ। ‘জানাইতেন। আবার মুখে, “ মাতৃবং পরদারেমুখ পাঠ করিতেন, গোপনে অন্যের কুলবধুর কলঙ্কোৎপাদনের চেষ্ট প্রাণ দিয়া করিতেন। এ রূপ সহস্ৰ কোটি কোটি পাপ গোপুনে করিতেম, লোকে তাঙ্কা’জানিতে পাইত স্না।