পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SJ সমস্ত পৃথিবী ভরে হেমন্তের সন্ধ্যার বাতাস দোলা দিয়ে গেল কবে –বাসি পাতা ভূতের মতন উড়ে আসে —কাশের রোগীর মত পথিবীর বাস,— যক্ষমার রোগীর মত ধ:কে মরে মানুষের মন!— জীবনের চেয়ে সন্থে মানুষের নিভৃত মরণ ! মরণ—সে ভালো এই অন্ধকার সমুদ্রের পাশে ! বাঁচিয়া থাকিতে যাবা হিচড়ায়—করে প্রাণপণ,— এই নক্ষত্রের তলে একবার তারা যদি আসে,— রাঘিরে দেখিয়া যায় একবার সমুদ্রের পারের আকাশে — ᎼᎸ মৃত্যুরেও তবে তারা হযতো ফেলিবে বেসে ভালো ! সব সাধ জেনেছে যে সে-ও চায় এই নিশ্চয়তা! সকল মাটির গন্ধ আর সব নক্ষত্রের আলো যে পেয়েছে,—সকল মানুষ আর দেবতার কথা যে জেনেছে—আর এক ক্ষুধা তব—েএক বিহবলতা তাহারও জানিতে হয়! এই মত অন্ধকাবে এসে — জেগে-জেগে যা জেনেছ,—জেনেছ তা—জেগে জেনেছ তা— নতুন জানিবে কিছর হযতো বা ঘনমেব চোখে সে । সব ভালোবাসা যার বোঝা হল—দেখকে সে মৃত্যু ভালোবেসে ! Է Ե কিবা এই জীবনেরে একবার ভালোবেসে দেখি — পথিবীর পথে নয়,—এইখানে—এইখানে বসে — মানুষ চেয়েছে কিবা ? পেয়েছে কি ?—কিছল পেয়েছে কি !— হয়তো পাষ নি কিছল,—যা পেয়েছে, তা-ও গেছে খসে অবহেলা কবে করে, কিবা তার নক্ষত্রের দোষে — ধ্যানের সময় আসে তারপব,—সবনের সময!— শরীর ছিড়িয়া গেছে,–হৃদয় পড়িয়া গেছে ধৰসে — অন্ধকার কথা কয়,--আকাশের তারা কথা কয় তারপর,—সব গতি থেমে যায়—মছে যায় শক্তির বিসময় ! ○ げ