পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোনো এক অন্ধকারে আমি যখন যাইব চলে— আববার আসিব কি নামি অনেক পিপাসা লয়ে এ-মাটির তীরে তোমাদের ভিড়ে ! কে আমারে ব্যথা দেছে—কে বা ভালোবাসে,— সব ভূলে,—শধে মোর দেহের তালাসে শুধ মোর স্নায় শিরা রক্তের তরে এ-মাটির পরে আসিব কি নেমে ! পথে-পথে,--থেমে-—থেমে—থেমে খুজিব কি তাবে – এখানের আলোয়-অাঁধারে যেইজন লেপেছিল বাসা !— মাটির শরীরে তার ছিল যে-পিপাসা আর যেই বাথা ছিল,—যেই ঠোঁট, চুল, যেই চোখ, যেই হাত--তার যে-আঙল বক্ত আর মাংসের সপশসিখভবা— যেই দেহ একদিন পথিবীব দ্রাণেব পসবা পেযেছিল,— আর তার ধানীসরা করেছিল পান, একদিন শুনেছে যে জল আর ফসলের গান, দেখেছে যে ঐ নীল আকাশের ছলি মানুষ-নারীব মুখ,—পরষ— মন্ত্রীর দেহ সবি যার হাত হয়ে আজো উষ্ণ হযে আছে ফিরিয৷ আসিবে সে কি তাহাদের কাছে ! প্রণয়ীব মত ভালোবেসে খুজিবে কি এসে একখানা দেহ শয় । হারায় গিযেছে কবে কঙ্কালে কাঁকবে এ-মাটির পরে! অনধকারে সাগরের জল ছেনেছে আমার দেহ, হযেছে শীতল চোখ-ঠোঁট—নাসিকা—আঙল তাহার ছোঁয়াচে ; –ভিজে গেছে চুল পিপাসার গানু