পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষাবস্থা । S • 4 ছইড ; মনে করিতাম যখন পুত্ৰ সন্তান জন্মিয় পিতৃপিতামহের পরিচয়ে বঞ্চিত হইল তখন এ সন্তানে ফল কি ? যদি সংসারে থাকিভাম আমাকে পুত্রবতী বলিয়া লোকে কত প্রশংসা করিত, আমার কত গৌরব বৃদ্ধি হইত ; কুলে মুসন্তান জন্মিলে তিন কুল উদ্ধার হয়, স্বৰ্গ পৃথিবীর নিকটবর্তী হয়েন, পিতৃলোকের জল গণ্ডুষের উপায় হয়, এ সস্তান জন্মিয়। তাছার সমুদায় বিপরীত ফল হইল। তথাপি সন্তানের মায়া ভুলিবার নহে, নিয়মিত রূপে তাছাকে পালন করিলাম, একটু বড় হইলেই পাঠশালায় দিলাম, হতভাগীর সম্ভান অতি অলপ দিনেই কিঞ্চিৎ লেখা পড়া শিথিল, তাহাও দোষের জন্ত হইল, যদি বিদ্যা শিক্ষা না করিত, . ইতর প্রবৃত্তি হুইত, সামান্ত লোকের মত পরিশ্রমজীবী হইয়া অবশুই আমাকে শ্রদ্ধা ভক্তি করিত । ক্রমে জ্ঞানের সঙ্গে মনে মনে লজ্জার উদয় হইতেই বাছা যে আমার কোথার গেল, কিছুই জানি না। এই সময়ে যে বাবুটীর আশ্রয়ে ছিলাম, উপহার জ্ঞাতিবিরোধ উপস্থিত হইল, তিনি মামলা, মকদ্দামায় যথাসৰ্ব্বস্ব মষ্ট করিলেন, শেষে অপমানভয়ে দেশত্যাগী হইলেন, আমি এককালে শোক ও দুঃখ সাগরে পড়িলাম। একে সস্তান নিৰুদেশ, সেই শোকেই সৰ্ব্বদা কাতর, আবার যে গাছের ছায়ামাত্র একটু যুড়াইবার স্থান ছিল সেটাও এই বিষমঝড়ে নিমূল ছষ্টয়া গেল ; যে কিছু সংস্থান করিয়াছিলাম তাহ সেই মকদ্দামার সময়েই শেষ করিয়াছি, এক দিন দিনপাত করি এমন সঙ্গতি নাই, পেটের দায় ভালমন্দ লিটিল কেন তৰে কোন প্রকারে প্রাণ খণরণ করি। কিছুদিন পরে বাবু দেশে এলেন শুনিয়া আঙ্গাদিত হইলাম ,