পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রহ্মচারী । S$6. কর্তৃক সদৃত্তি সম্পন্ন নরোত্তম গণের অন্তরাঙ্গন বিক্ষিপ্ত ধান্ত প্রতিমূৰ্ত্তি জ্ঞানান্ধতা বিনাশীকৃত হউক । অনন্তর পুলিন বাবু ব্রহ্মচারীর সমভিবাছারে পশ্চাৎ পশ্চাৎ গৃহ প্রবেশ করিয়া, বিষ্ণুমণ্ডপে আসন প্রদান করিলেন । ব্রহ্মচারী অণসীন হইলে, স্বয়ং সম্মুখে উপবিষ্ট হইলেন এবং করযোড়ে বলিলেন “প্রভো ! আপনার পবিত্র পাদস্পর্শে অদ্য আমার পুরী পবিত্র হইল, শুচি কান্তি দর্শনে নয়নের সাফল্য লাভ করিলাম, এবং স্ক্রমুখ নিগলিত সিদ্ধবাক্যে দুরদৃষ্টজাল হইতে অবশ্যই মুক্তি প্রাপ্ত হইলাম , কিন্তু আমার কৌতুকাবিষ্ট অন্তঃকরণকে স্থির করিতে পারিতেছিনা, যদি বিশুদ্ধ প্রকৃতির বৈরক্তি না জন্মে, তবে প্রস্তাব করিয়া আত্ম তৃপ্তি সাধন করি । হে ভগবন ! এ দেবারুতি কি অভিজনে প্রতিষ্ঠিত ? কোন মহাতীর্থের অলঙ্কার? পৃথিবীর কোম্ নির্দিষ্ট ভাগের পবিত্রতা সম্পাদনের নিমিত্তে সচল হইলেন ? এবং কি অভিপ্রায়েই আতিথ্যসৎকার স্বীকার করণ পূৰ্ব্বক মাদৃশ অভাজনগণকে চরিতার্থ করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন ? হে দেব ! যদি আত্ম পরিচয় প্রদান করণ বিষয়ে ধৰ্ম্মশাস্ত্র প্রতিষেধক না হয়, তবে এ নরাধমের এই উচ্চাভিলাষ পূর্ণ হওয়া বোধকরি অসম্ভব নছে।” ব্ৰহ্মচারী উত্তর করি লেন, “বৎস! ভবাদৃশ সদাশয়গণের মনস্তুটির নিমিত গুহ্যতঃ সংগোপন করিতেও শাস্ত্র বিরোনী, বিশেষতঃ তোমার প্রস্তাবনা অতি সামান্য ইছা গোপন করিবার কারণ কিছুই নাই, আমি মুক্তকণ্ঠে ব্যক্ত করিয়া তোমার কৌতুকপনোদন করিতেছি শ্রবণ কর ।"