পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রহ্মচারী। YY % অর্পণ করিলেন এবং বলিলেন “বীজ মন্ত্র সকল অভ্যাসীক্লত হইলে অনন্তদৃশ গঙ্গাজলে নিক্ষিপ্ত করিবা" এই বলিয়া অন্তস্থিত হইলেন। রজনী প্রভাত হইল, সেই অলক্তাঙ্কিত বিলুপত্রে, মারণ, উচ্চাটন, বশীকরণ, ভৌতিক এবং সর্পমন্ত্র প্রভৃতি বহুল চমৎকারিণী বিদ্যার বীজ ও প্রকরণ লিখিত ছিল । আমি তৎসমুদায় বীজমন্ত্রাদি পাঠ এবং হৃদয় ফলকে অঙ্কিত করিয়া লইয়া তীৰ্থাত্তরে গমন করিলাম, দেবীর আদেশানুসারে বিলুপত্র গুলিও জাহ্নবী জলে বিসর্জন করিলাম । তৎপরে নানা তীর্থ এবং জনপদ ভ্রমণ করিয়াছি, সে সকলের পরিচয় প্রদান করা অনাবশ্বক ; অধুনা লোকালয়ে পরিভ্রমণ করিবার প্রধান উদ্দেশ্য পরোপকার সাধন, যtছা আমার ব্রত বিশেষ । শ্রীতিমতে প্রকটিত আছে, “ধৰ্ম্মঃ পরোপকারায় পাপঞ্চ পরপীড়নে" অর্থাৎ পরের উপকার ধৰ্ম্ম, পরপীড়া পাপ, অতএব বিগত-কাম হইয়া তাদৃশ ধৰ্ম্মাচরণ করিলে জীবন্মরণে অক্ষয় যশ ও স্বৰ্গ লাভ হয় ; আমি প্রাণপণে জীবলোকের হিতসাধনে পরাঙ্মুখ নছি, বিপম্নোদ্ধার যুক্তি আমার ইষ্ট মন্ত্রের সার ; গৃহাশ্রমীগণই অনুক্ষণ বিপদ জালের অধীন, জনপদে বিচরণ না করিলে আমার ব্রত সাধন হইবার সম্ভাবনা বিরল। তপোধনগণের তপোবিন্ধ নিরীকরণ জন্য কেবল মারণ, উচ্চাটন, প্রকরণদ্বয় কদাচিৎ প্রয়োজন হয় ; অন্যান্থ্য সকল বিদ্যাও ঘটনা বিশেষে অবশ্যক ; বশীকরণ কেবল সাংসারিকেরই ইষ্টসিদ্ধি মূলক। এই বিদ্যার অনিৰ্ব্বচনীয় শক্তি, স্ত্রী পুৰুষ মাত্রেই যে যাহাকে যে ভাবে বাৰিত করিতে মানস করে, এই মহতী বিদ্যার প্রভাবে তাছাকে অনায়াসে সেইভালে