পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Տ Ջե- নটনন্দিনী । মস্তক হইতে অনর্গল ঘৰ্ম্ম নির্গত হইতে লাগিল । নাজানি আমার অদৃষ্টে কি একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়া উঠে, মনে মনে ইহাই ভাবিতেছি এমন সময় বিশ্বরঞ্জন হাস্যমুখে বলিলেন, “আছো ! আমার আজ কি শুভক্ষণে রাত্রি প্রভাত হইয়াছে যে তোমার অকলঙ্ক বিধুবদন দর্শন করিয়া আমার মুগ্ধ নয়ন সফল করিলাম ? চন্দ্রাননি ! তোমার মুখচন্দ্রিমা যদি ক্ষুধিত চকোরের সৌভাগ্য আকাশে পূর্ণরূপে প্রকাশ করিলে, তবে দুকূল মেঘের অস্তুরালবৰ্ত্তী হইয়া আর আকুল করিতেছ কেন ? প্রিয়ে! একবার কৰুণা বায়ু সঞ্চালন দ্বারা আবরণ উদ্‌ঘাটন করিয়া অমৃতময় অনুকুল সম্মিত বচন কৌমুদী বিতরণে অধীনের অন্তর গগন পুলকালোকে পরিপূর্ণ কর, আমি আজ অবৰি যাবজ্জীবন তোমার দাসত্ব শৃঙ্খলে বদ্ধ হইলাম।" বিশ্বরঞ্জনের এই প্রথম কথা, এই কয়েকট কথা আমি বিলক্ষণরূপে অভ্যাস করিয়াছিলাম । তিনি এইরূপে কতক্ষণ পর্যন্ত আরও কত কথা বলিলেন, আমি সকল শুনিতেও পাইনাই, তাহার ভূমিকা শুনিয়াই অজ্ঞানের প্রায় হইলাম । বুদ্ধির স্ফূৰ্ত্তি কিছুমাত্র রহিল না, ধারার শ্রাবণের স্যায় চক্ষু ছইতে অনবরত বারিধারা বহিতে লাগিল, কেবল কতক্ষণে ব্রাহ্মণী ঠাকুরাণী প্রত্যাগমন করেন ইছাই প্রতীক্ষা করিতে লাগিলাম । কোথায় বা সে ব্রাহ্মণ কন্যা, আর কোথাই বা মাতৃ অন্বেষণ, পরক্ষণেই বুঝিলাম সে সমস্তই ছল, তখন ব্রাহ্মণীর ইতিপূৰ্ব্বেরষে কথা সকল রহস্য জ্ঞান করিতাম এখন তৎসমুদায় প্রকৃত বোধ হইল । কিন্তু কি করি ? কিরূপেই বা এই ঘোরতর বিপদ হইতেই নিস্কৃতি পাই, কিছুই স্থির করিতে পারিতেছি না। কিঞ্চিৎ কাল