পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Q> मछेनमिनी । সদাশিব অচৰ্চনোপযোগী উপচার স্বহস্তে গ্রহণ করিয়া, গুহ্যদ্বারে প্রবিষ্ট হইলেন, এবং ক্ষণকাল পরে বহির্ভাগে আসিয়া, মুক্তকণ্ঠে দেবীর স্তুতিপাঠ করিতে লাগিলেন । স্তুতিপাঠ সমাপ্ত হইলে, আমরা সকলেই গুহামধ্যে প্রবেশ করিলাম, দেখিলাম নৈবেদ্যাদি উপকরণ যেন কে ভোজন করিয়াছে, কেবল পাত্রের একপাশ্বে যৎকিঞ্চিৎ প্রসাদ আকশিষ্ট আছে, তদর্শনে আমার অন্তঃকরণে নিরতিশয় বিস্ময় জন্মিল, তাহা নিরাকরণের কিছুমাত্র উপায় করিতে পারিলাম না । কন্দরপ্রবেশের পথও দিগন্তুরে দেখিতে পাইলাম না । অতএব বিপুল ভ্রান্তি আমার অন্তরগৃহে সন্নিবেশিত হইয়া, আমার প্রসন্নত হরণ করিল । এই চমৎকারিণী ব্যাপারের তত্ত্বোম্ভেদ করিবার নিমিত্ত মন যথোচিত উৎকণ্ঠিত হইয়া উঠিল, কিন্তু উপায়ান্তর শৃষ্ঠ দেখিয়া মৌনাবলম্বন করিলাম। সদাশিব হৃষ্ট চিত্তে কছিলেন, “বৃদ্ধে। আর তোমার লক্ষীশ্বরের কোন বিপদাশঙ্কা নাই, দেবী সুপ্রসন্না না হইলে পূজা প্রত্যাখ্যান করিতেন, এক্ষণে চল বাহিরে যাইয়া সকলে ঐকান্তিক মনে প্রত্যাদেশ প্রার্থনা করি।” এই কথা কহিয়া সদাশিব কন্দর হইতে বাহির হইলেন, অপর সকলেই উহার অনুজ্ঞানুসারে ভক্তিভাবে বদ্ধাঞ্জলিপুটে তাহারি পশ্চাৎ শ্রেণীবদ্ধ, নিরবে দাড়াইয়া রহিল, তিনি স্বয়ং দুই বাহু উন্নত করিয়া, সকাতরে উচ্চৈঃস্বরে বলিতে লাগিলেন “কৃপাময়ি ! কৃপাবলোকনে নিরপরাধী লক্ষীশ্বরের জীবন রক্ষার বিস্থিত বিধান আদেশ কৰুণ ? বিশ্বজননি! কুসন্তানের পুতি ঘৃণা করিলে, জননী নামের গৌরবের খৰ্ব্বত ছইল, মাতঃ ভগবতি!