পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ १२ महेनझिनैो । পিপাসায় কষ্ট বোধ হইয়াছে, কথা কহিবার সামর্থ্য নাই, মুখ ব্যাদান করিয়া জলপানাকাঙক্ষণ প্রকাশ করিলেন, অত্যণপ পরিমাণে জিহ্বাগ্রে জলদান করিতে করিতে কণ্ঠ সরস হইল, বিলক্ষণ সংজ্ঞাও প্রাপ্ত হইলেন। তখন তাহার নেত্রযুগল বাঙ্গপূরিত হইয়া উঠিল, বাঞ্জনিম্পত্তি না করিয়া, রোদন করিতে লাগিলেন । রোদনের কারণ ভুয়োভুয় জিজ্ঞাসা করাতে, দীনকণ্ঠে এই মাত্র বলিলেন, “পাপিনী কি নিতান্তই আমার প্রাণনাশিনী হইল, দুর্ঘটনার দুরভিসন্ধি চরিভার্থের নিমিত্ত, এ দুর্ভাগীর জীবনই কি এক মাত্র উপকরণ। ছা দুৰ্ব্বত্তা বিধৰ্ম্মিণি ! আমি তোমার নিকট কি অপরাধ করিয়াছিলাম যে, সহধৰ্ম্মিণী রূপে প্রতিপন্ন হইয়া, অামার প্রাণদণ্ড বিধান করিলে ? ভগবৰ ! ভবাদৃশ মহাতপাগণের ঐকান্তিক স্বস্ত্যয়ন কি নিষ্ফল হইল ? কুহকিনীর কুহক সস্তুত হতভাগ্যের অকালমৃত্যু কি এতই প্রবল ; যে অমোঘ দৈববলও তাহার প্রভাবে হীনবল হইয়া পরাভূত হইল ? প্রভো ! তাদৃশ দৃঢ়বন্ধন মোচন করিয়া, পাপিনী পুনরাগমন করিয়াছে ? রাক্ষসী আমার নয়ন পথে পতিত হইবামাত্র আসন্ননৃত্যুর আশঙ্কা আমার হৃদয় নিলয়ে উদিত হইয়া, বাহ্যজ্ঞান হরণ করিয়াছিল।” বলিতে বলিতে পুনরায় তাহার কণ্ঠ তালু শুষ্ক হইল, বাক্যের প্রসন্নতাও তিরোহিত হইল এবং অবসমভাবে একটু জল দেন বলিয়াই স্তম্ভিত হইলেন । আমি বলিলাম, “বৎস! কথা কছিবার প্রয়োজন নাই, স্থির ছও, অচিরাৎ আরোগ্য হইবে, অকিঞ্চিৎকর চিন্তায় আকুলিত হইতেছ কেন ? স্বয়ং মহাকাল যদি তোমার উপর কালদও নিক্ষেপ করেন, তাছাও ক্ষমঙ্করীর সতীত্ব প্রভাবে চূৰ্ণ হইবে।”