পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চৱিংশ অধ্যায়। অপকলঙ্ক মোচন । পেরিজন অনন্যচিত্ত, কতিপয় কুলবালিকা বেষ্টিত ক্ষমঙ্করী সদাশিবের বচনাবলির সত্যতাবধারণের নিমিত্ত, সভামগুপের অবিদূরিত গৃহমধ্যে উপবেশন করিলেন । সদাশিব প্রাগারম্ভে বিনীত ভাবে বলিলেন, “এ দুৰ্ব্বত্তের দুরভিসন্ধি সমুদায় মুক্ত কণ্ঠে ব্যক্ত করিতেছি, সকলে শ্রবণ কঙ্কন ? এবং যথার্থ দণ্ড বিধানে ইহাকে চরিতার্থ কৰুন ? - আমি ব্রাহ্মণ সস্তান, আমার নাম নলিনীকুমার, সুশীলা পতিব্ৰতা ক্ষমঙ্করীর পিতৃভবনের অদূরেই আমার নিবাস ভূমি । শৈশবাবধি ক্ষমঙ্করীর সহাধ্যায়ী ছিলাম। তৎকালে আমি ক্ষমকুরীকে যথেষ্ট ভাল বাসিতাম, তিনিও আমাকে অপ্রিয় জ্ঞান করিতেন না, এবং তাছার পিতা মাতাও অপত্যনির্বিশেষে স্বেছ করিতেন। সম্মেহ শুশ্রুষায় চক্ষু অব পোষ্টার বাৎসল্য ময় অঙ্কে বৰ্দ্ধিত হইলে, কি অবসর মতে সেই ক্রোড়কেই দংশন করিয়া, বিষাক্ত করিতে পরায়ুখ হয় ? কুটিলের কুটিলতা চরিতার্থ করিবার কি পাত্রাপত্র ভেদ আছে ? দস্থ্যগণ কি দরিদ্রের দ্রব্যাপহরণ করিতে কুষ্ঠিত হয় ? বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সুমতি