পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপকলঙ্ক মোচন `brථි করা উচিত। এক্ষণে আমার প্রকতোত্তর ইহাই নিশ্চয় জানিবে। পিতা যদি আমাকে পঙ্গুর হস্তে সমর্পণ করেন, আমি সেই পিতৃনির্দিষ্ট বিকলাঙ্গ স্বামীকে, কন্দৰ্প লাঞ্ছিত পুৰুষপ্রধান জ্ঞানে তৎসঙ্গে এবং তাছারই সেবা প্রসঙ্গে আত্ম সমর্পণ করিয়া, সাংসারিক সুখেচ্ছ চরিতার্থ করিব।” এই কথাগুলি কর্ণগোচর হুইবামাত্র নৈরাশ প্রত্যক্ষিত হইয়া, আমার জীবন আশা হরণ করিল। আমার হস্তে একখানী ছুরিকা ছিল । তৎক্ষণাৎ সেইখানী গ্রীবালগ্ন করিয়া বলিলাম, তবে এই দণ্ডেই তোমার প্রত্যক্ষে স্বীয় প্রাণদণ্ড নিম্পাদনে সন্তোষ সাধন করি । এই বিস্ময়কর ব্যাপারে ক্ষমঙ্করী সমধিক ভীত হইয়া, সত্বরে আমার হস্তধারণ পূর্বক চীৎকার করিবার উপক্রম করিলেন । তখন আমি চেতিত হইয়াছি, সবিনয়ে ক্ষমঙ্করীকে ক্ষাত্ত করিলাম, এবং উহার আদেশ মতে সেই স্থানেই ছুরিকা পরিত্যাগ করিয়া প্রস্থান করিলাম । গমন কালে কেবল এই মাত্র বলিয়ছিলাম যে, যদি কখন তোমার প্রিয়পাত্র হইবার উপায় করিতে পারি, ত পুনরায় তোমার দৃষ্টিপথের পথিক হইব, নচেৎ এই অবধিই শেষ হইল। সেই তীক্ষার ছুরিকা সংস্পর্শে গলদেশে তাহার চিহ্ন অস্থাপি দেদীপ্যমান রছিয়াছে। তৎপরে এই সমস্ত ব্যবহার গোপন থাকিবার নহে, প্রকাশে জনসমাজে লজ্জিত হইব, এরূপ শঙ্কাও আছে, আরও দিগ্বিদিকৃ পৰ্য্যটন দ্বারা যদি ক্ষমঙ্করী লাভের কোন উপায় করিতে পারি, এইটাই বিশেষ উদেশ্ব। কিছু দিন পরে মহানগর কলিকাতায় গিয়া উপস্থিত হইলাম, সহরের শোভা অতি চমৎকার দেখিয়া, যার পর নাই প্রীত হইলাম, কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য ! সেই বিপুল