পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রহস্য । ২ ও ৩ নীর মৃতবৎ মলিন মুখকমল আবৃত হইয়াছিল। আগন্তু তাছা উদঘাটন করিয়াই শোকবিহবল চিত্তে এবং বাস্পাকুলিত লোচনে বলিতে লাগিল “হা হতভাগিনি ! তোমার কপালেও এত দুৰ্গতি ছিল ?এখনও তুমি পথের কাঙ্গালিনী হইয়া পথে পথে ভ্রমন করিতেছিলে ? কোথাও স্থান পাও নাই ? অবশেষে কি আমার হাতেই এই দুর্ঘটিত অপমৃত্যুতে পতিত হইলে ? আমিই তোমার জীবন বিনাশ করিলাম ?” তৎপরে বসনাঞ্চলে অশ্রুমার্জন পূর্বক “সৰ্ব্বনাশীর মুখ আর দেখিতে পারি না, আমার বুক বিদীর্ণ হইতেছে, শীত্র ইলুকে নির্দিষ্ট কুপে নিক্ষেপ কর।” ঘাতক সকৌতুকে আগন্তুর সস্তাপের কারণ জিজ্ঞাসা করিলে সে কহিল “ সে কথার উল্লেখে আর ফল কি ? তোমাকে যাহা বলিলাম তাছাই কর।” ঘাডক আর কোন উত্তর করিল না তৎক্ষণাৎ দুঃখিনীকে সেই উদ্যানান্তরবর্তী নিভৃত কূপে নিক্ষিপ্ত করিয়া উভয়েই নিয়োযিত স্থানে প্রস্থান করিল। অষ্টত্রিংশ অধ্যায়। রহস্য । পঞ্চকোট পাৰ্ব্বতীয় দেশাধিপতি প্রবল প্রতাপ বিপ্রকুলোম্ভব যুবরাজ বীরশেখর, বৰ্দ্ধমান বিভাগে স্বীয় মাতুলালয়ে গমন করিয়াছিলেন । সঙ্গে শস্ত্রধারী সৈন্ত অধিক ছিল না, অশ্বারোহী পদাতিক, অনুবল এবং ভূত্যগণ সমবেত উৰ্দ্ধসংখ্যায় ২০২২ জন পুৰুষ একটা হস্তী আর কয়েকটা অশ্বমাত্র তাছার