পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রহস্য *・金 ভউয়ের আনন্দের সীমা নাই, মুক্তকণ্ঠে যুবরাজকে আশীবাদ করিতে করিতে রাজানুসঙ্গিক অনুচর এবং ভূত্যগণ সমীপে গিয়া, রাজভোগে আছারাদি করত তথায় পরমমুখে রাত্র যাপন করিল। পর দিন প্রাতে রাজ নিয়োষিত ছত্তিপৃষ্ঠে আরোহন করিয়া গমন করিতে লাগিল। অপরাহ্নে উপযুক্ত স্থানে যুবরাজ শিবির স্থাপন করিতে আদেশ করিলেন এবং সকলেই সেই স্থানে অবতীর্ণ হইল। যুবরাজ গতক্রম হইয়া, পখিকদ্বয়কে আহবান এবং তাহাদিগের নাম জিজ্ঞাসা করিলেন । তাছারা, অযোধ্যালাল অণর রঙ্গলাল নামে উভয়ে পরিচিত ছইল। অযোধ্যালাল নুনাধিক পঞ্চাশত বর্ষ বয়ক্রান্তু, রঙ্গলালের বয়স ত্রিংশত বৎসরের অধিক নছে, কিন্তু আকৃতিতে উভয়েই সমকায় এবং বয়ার্ষিককেই অধিকতর বলীষ্ঠ অনুমান হয় । নৃপতি উছাদিগের শিষ্টাচারে যথেষ্ট পরিতুষ্ট হইয়া উভয়কে উপবেশন নির্দেশ এবং মুসস্বত সঙ্গীতালাপ করিতে অনুমতি করিলেন। রাজাঙ্কায় পখিকদ্বয় স্ব স্ব যন্ত্র সংলগ্ন করিয়া বিশুদ্ধ তাল মানে সুস্বর ঈশ্বর গানে নিমগ্ন হইল । গান শুনিয়া সকলেই বিমোহিত, ভূপতি উহাদিগকে ভূয়োভুয়ঃ প্রশংসা করিতে লাগিলেন । তৎপরে ভোজনাদি সমাপনাস্তে অযোধ্যালালের মুখে কোন অপূৰ্ব্ব আখ্যান শুনিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। অযোধ্যালাল সহৰ্ষে যুবরাজের শয্যার এক পার্শ্বে বসিয়া খোশগল্প আরম্ভ করিল। অযোধ্যালাল ‘বলিল মহারাজ ! ইতিপূৰ্ব্বে একরাজা ছিলেন, তাছার অতিশয় মাছ ধরা বাতিক ছিল । এক দিবস