পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিচিত্র পরী। ২•৯ রঙ্গপাল ঘোড় হস্তে কৰিতে লাগিল নরেশ্বর ! বৈদ্যনাথ প্রদেশের বনমধ্যে যে পথ আছে আমি কোন সময়ে ঐ পথে যেতে যেতে দেখলাম যে বৃহৎ পৰ্ব্বতাকার একটা ছন্তী চীৎকার কৰ্ত্তে কৰ্ত্তে পেছু ছেঁটে যাচ্চে। এক এক বার সে তার সেই ভয়ানক শুড়ে গাছ পালা জড়িয়ে থচ্চে, তাতে বড় বড় বৃক্ষ গুলোও ভেঙ্গে পড়ছে। এই রূপ দেখে বোধ কষ্ট্রেম ছাতীটার সে রূপে যাওয়া ইচ্ছা নয়, কিন্তু এর কারণ কি জানিবার জন্য তার কাছে গিয়ে দেখলেম চার পাচটা খুদে পিপড়ে তার পেচেীনের পা ধরে হড় ছড় করে টেনে নিয়ে যাচ্চে । আমি এই কৌতুক দেখবার মানসে, তাদের সঙ্গে সঙ্গে চলে যাচিচ, ক্রমে তিন চার ক্রেনশ গিয়ে পড়লেম, এক মাটের মাঝখানে হাতীট থোম কে দাঁড়ালো । পিপড়ে গুলো তাকে আপনাদের গর্তে ঢুকাবার চেষ্টায় টানাটানি কর্তে লাগলো, কিন্তু অতবড় হাতীর শরীর পিপড়ার গর্তে ঢুকবে কেন ? পিপড়ে রক্ত মুখী হয়ে উঠলো, এরি মধ্যে দুটাে পিপড়ে দৌড়ে এসে হাউটার আগলি পাছুটে ধরে গোটাছুই ছেচকা টান মার তেই হাতীটা লম্বা হয়ে শুয়ে পড়লো। তখন পিপড়াগণ ছাতীটাকে অনায়াসে গর্তসাৎ কোরে ফেললে । আমি এই আশ্চর্ষ্য ব্যাপার দেখে ভাব লেম আবার যদি আমাকেও খুদে পিপড়ে পায়, তবে উপায় কি হবে, এই ভেবে সেখান থেকে পালয়ে গেলাম । তিন দিন পরে দেখি পাতাল থেকে পৃথিবী বিদীর্ণ করে হঠাৎ একটা হাতী উঠে শুড়ে করে হু হু শব্দে জল প্লাবন কৰ্ত্তে লাগলো। জল তালগাছ সমান উচু হয়ে, ঘর বাড়ী, গাছ পাতর ভাসিয়ে মিয়ে যাচ্চে। আমি মনে মনে ভাব লেম এ হাতীট কখনই