পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিচিত্র পরী। ২১১ কুকুরে তার ফাটলের ভিতর অনায়াসে বাসা করে আছে। আমি চমৎকার ভাবে এই সকল শোভা দেখচি, ছাতীট এসে শু ড়ে করে আমাকে চিৎকরে ফেলে পেটে এক পা আর মাতায় এক পা দিয়ে আমার নাড়ি তুড়ি ছোরকুটে আমারে মেরে ফেললে । আমিও অমনি সেই খানেই মরা পড়ে রইলেম । খানিক পরে সেই অট্টালিকার ভিতর থেকে একট প্রকৃত পরী বেৰুলেন । দেখতে দেখতে তিনি আমার নিকট এলেন । আহা ! পরীত যথার্থই পরী। আমরি ! কি সুন্দর রূপ মাধুরি ! তেমন রূপ ষে কেহ কথন দেখেচেন এমন বোধ হয় না । রূপ দেখে আমার চোক যুড়িয়ে গেল । প্রথমেই আমি তার মাতার দিগে চেয়ে দেখলেম । সুর্য্যের কিরণে তার চাকচিক্য দেখেই আমি হতজ্ঞানের প্রায় হলেম । তার নাকের তুলনা বঁাশীর সঙ্গেও ছয় না । চেকের সৌন্দর্যের কথা কি বলবো, হরিণগণ তার উপমাস্থলকে অদ্যাবধি দেখতে পেলেই পালায়। কর্ণও সেই রূপ, এবং ভঙ্গিতে বুঝলেম তার পদানত ৰস্তুকেও তিনি উচু করে দেখেন এবং কারে প্রতি হঠাৎ দৃষ্টি করেন না। অদৃষ্টক্রমে যে আমার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন সেও অনেক কষ্টে। ওষ্ঠের গঠন অতি চমৎকার। দাড়িট বুকে ঠেকেই আছে। অপর সর্বাঙ্গই প্রায় এই রূপ। আরও দেখলেম, পরী ঠাকুরাণীর পায়ের ভলা কখনই মাটিতে পড়ে না | মহারাজ ! পরীর রূপ বর্ণনা শুনে বোধ হয় আপনার আশ্চর্য্য বোধ হচ্চে না, কেন না সকলেই জানেন পরীরা দেব তুল্যা, এ পরী সে পরী নয়, এ পরীর মাতার চাকচিক্য সুন্দর, কেশ বিন্যাস এবং তারই মত অলঙ্কার কর্তৃক ছয় নাই । ইহার গও দেশের উপর থেকে সমস্ত মাতায় টাক পড়া তাতেই