পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপে বন । >いう> তৎপশ্চাৎ বাম সতৃষ্ণ নয়নে সমস্ত বনভাগ পর্যবেক্ষণ করিতে করিতে অদূরেই গমন করিতেছেন। দর্শনমাত্র নির্ভয়ে গাত্রোথান করত আকুলিত কণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন “পিতঃ ! এই চিরদুঃখিনীকে রক্ষা কৰুন ? পাপাচার সংসাররূপ মদমত্ত আত্মসাধন তৎপর নর পিশাচগণের পুনঃ পুনঃ তাড়না অসহমান হুইয়। এই হিংসা-শূন্ত শৈল-শিখরের বিজন প্রস্তে আগমন করিয়া বিগতোৎপণত হইয়াছি এবং কথঞ্চিৎ স্বচ্ছন্দে কালযাপন করিতেছিলাম, ক্ষণমাত্র এই অদৃষ্টপূৰ্ব্ব যুবাবর সম্মুখীন হইয়া আমার শান্তি বিঘাতক বচন প্রয়োগ করিতেছেন।” তপে মণি, মহিলোচিত আৰ্ত্তস্বর শ্রবণ মাত্র সেই দিকে দৃষ্টিপাত এবং তাছার ঐকান্তিক উদ্দেশ্য দুঃখিনীকে নয়নগোচর করিয়া আনন্দ বেগ আর সম্বরণ করিতে পারিলেন না। উপর্য্যুপরি দ্রুতপদ বিক্ষেপে দুঃখিনীর নিকটে আসিয়া স্বীয় পদতল হইতে পবিত্র রেণু স্বহস্তে গ্রহণ করত ভূমিষ্ঠা নত-শার্মা দুঃখিনীর মস্তকে প্রদান পূৰ্ব্বক আশীৰ্ব্বাদ করিয়া ক্ষণে ক্ষণে মস্তকাম্রাণ করিতে করিতে বলিলেন “বৎসে ! কোন্‌ মহাত্মার উপদেশে তুমি আমাকে পিতৃসম্বোধন করিলে ?” সুঃখিনী কহিলেন “পিত: ! দুৰ্বত পুলিন হস্ত হইতে নিস্কৃতিই আমার একপ্রকার পুনর্জন্ম, অতএব আপনিই এই হতভাগিনীর জনয়িত ভিন্ন নছেন।” এতচ্ছ বণে ব্রহ্মচারীর নয়নদ্বয় হইতে পূৰ্ব্বজনিত শোকমিশ্র আনন্দাও দরদরিত ধারে বিগলিত হইতে লাগিল । বাঙ্গাকুল বিজড়িত কণ্ঠে কছিলেন, “মা ! এই নিষ্ঠুর হতভাগ্যই তোমার যথার্থ জন্মদাতা , এই সরলহৃদয় রামের মুখে তোমার আজন্ম সমুদয় বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়াছি।” বলিতে বলিতে তপশ্চারী অধীর হইয়া উঠিলেন । পাঠক !