পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২38 নটনন্দিনী । আমরা রাজাখ্যা প্রাপ্ত, কিন্তু এমন একটা প্রথা প্রচলিত আছে যে বহুপুত্ৰ স্থলে জ্যেষ্ঠই সম্যকাধিকারী হুইয়া রাজসম্মান প্রাপ্ত হইবেন, অপরাপর সকলেই সেই সংসার ভুক্ত এবং কৰ্ম্ম বিশেষে নিয়োজিত থাকিয়া অাখ্যাত্তরে প্রতিপন্ন হইবেন । কাল ক্রমে পিতা পিতৃলোকত্ব প্রাপ্ত হইলে আমিই রাজপদে অভিষিক্ত হইলাম। আমার অনুজ রমণ বাবু ঈর্ষ্যা বশতঃ একটী অলিক হত্যাকাও উপস্থিত করিয়া আমাকে বিচারালয়ে দণ্ডাৰ্ছ করিলেন। রাজাজ্ঞায় আমি অকৃভাপরাধে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরে প্রেরিত হইলাম, রমণ বিষয়াদির উত্তরাধিকারী হইলেন, কিন্তু আমি জীবিত বলিয়া রাজাখ্যা পাইলেন না। ঘটনাক্রমে সামুদ্রিক উৎপাত উপস্থিত হওয়াণ্ডে অর্ণবপোত জলমগ্ন হইল। আরোহীগণ কে কোথায় গেল বলিতে পারি না । আমি এক খানি কণষ্ঠ ফলক অবলম্বন করিয়া সেতুবন্ধ রামেশ্বরে আসিয়া ছদ্মবেশে যোগীগণের নিকট যোগাভ্যাসেই কাল যাপন করিতেছিলাম। কিয়ৎকাল পরে শুনিলাম উল্লিখিত হত্যাকাণ্ডের অসত্যতা প্রমাণ হওয়ায় বাজপুৰুষেরা আমার নির্দোষিত সৰ্ব্বত্রেই ঘোষণা করিয়া দিয়াছেন । এই কথার সত্যাবধারণ মানসে আমি স্বদেশে আগমন করিলাম । মাতঃ ! আমি যখন দ্বীপান্তরিত হইয়াছিলাম তখন তোমার এই গর্ভধারিণী অজ্ঞাত গৰ্ত্তিনী ছিলেন । এই শুভ সম্বাদ অণুমাত্র পেীরগণেও জানিত না, কেবল রমণের স্ত্রীই কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ অনুমান করিয়াছিলেন। আমি সেতুবন্ধ রামেশ্বর ছইতে প্রতিগমন কালে নগর প্রাস্তেই শুনিলাম যথাকলে তোমার জননী একটী কন্যা প্রসবিনী