পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

තු එං নটনন্দিনী । কখনই দেখি নাই কিন্তু একটা যুবাপুৰুষ আমাদিগের আশ্রমে আছেন, তাহার মস্তকে একটা সুবর্ণজড়িত ভাজ আছে, কিং খাপের চাপকানের উপর বিচিত্র কটিবন্ধ, তাহতে একখানি তরবারী। এই কথা শুনিয়াই পুৰুষবর সত্বরে ভূমিষ্ঠ হইয়। কতিপয় পদাতি সৈন্ত সমভিব্যাহারে সেই তপোবন মধ্যে গমন করিলেন। যুবরাজ সেনাপতিকে আসিতে দেখিয়া যথাযোগ্য অভ্যর্থনা করিলেন । সেনাপতি রাজসমীপে আসিয়া সস্ত্রীক রাজর্ষি এবং যুবরাজকে দণ্ডবৎ প্রণাম করিলেন । দ্বিজরাজ শিবপ্রকাশও বীর শেখরের পরিচয় প্রাপ্ত হইয়া তাছার সমাগমে কৃতাৰ্থস্মন্য হইলেন। তৎপরে যুবরাজের প্রস্তাৰমতে সেনাপতি কছিলেন “যুবরাজ ; রাজ্যের সমস্তই কুশল, যে সকল লোক আপনার প্রত্যক্ষে দক্ষ্য কর্তৃক নিছতপ্রায় হইয়াছিল, তাছারা একে একে সকলে প্রত্যাগমন করিয়াছে, দমু্যদলও সমস্ত ধৃত হইয়াছে। তাছাদিগের মধ্যে যে দুই ব্যক্তি অযোধ্যালাল আর রঙ্গলাল নামে আপনার নিকট প্রতিপন্ন হইয়াছিল, এ নাম তাহাদিগের প্রকৃত নাম নহে । অযোধ্যালালের যথার্থ নাম বিশ্বনাথ এবং রঙ্গলালের নাম শ্যাম । উছাদিগের দস্ল্যবৃত্তিই উপজীবিকা । ইতি পূর্বে ইছারা সকলে যে কোন স্থানে যত কুক্রিয়া করিয়াছে সমুদয় রাজপুৰুষগণের নিকট মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করাতে দলস্থ দস্থ্যগণকে যাবজ্জীবন কারাবাসের অনুমতি প্রদান করিয়া তত্ত্বৎ স্থানস্থ বিচারপতি সমূহকে তাবদীয় ঘটনার সত্যাবধারণ করত অক্কভাপরাধগণকে নিস্কৃতি প্রদান যোগ্য অণদেশ পত্র প্রেরণ করিয়াছেন ।