পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ অধ্যায় । ভেড়ে। কল । “পূৰ্ব্বকালে একজন নাপিত কার্য্যস্তুর ব্যপদেশে এক নিবিড় বনরাজি মধ্যে এক অনতি পরিসর বক্স অবলম্বন করিয়া একাকী গমন করিতেছিল, তথায় বৃহদাকার এক উপদেবতা ঐ নরসুন্দরের সম্মুখীন হইয়া উহাকে ভয় প্রদর্শন করত মৃত্য করিতে আরস্তু করিল। নাপিত অতি ধূর্তজাতি, তাদৃশ ভয়াবহু ব্যাপারে হতাশ না হইয়া বরং পূর্বাপেক্ষ সাহসী ও আমোদিত হইয়া ভূতের সম্মুখে হস্ত উত্তোলন করত নৃত্য করিতে আরম্ভ করিল, তখন ভূত কহিল, “ওরে পাগল তোর এত আমোদ কি নিমিত্ত হইল, অথবা মর বীর সময় গঙ্গার দিকেই কি পা করিলি ?” নাপিত হাস্য করিয়া উত্তর করিল “হারে । তাঁহাই বটে, মরবার সময় তোর না আমার ?” ভূত বলিল “আমি ত এখনিই ভোরে বধ করিব |" নাপিত । “তুই আমাকে বধ করিবি, কি আমি তোরে প্রায় বধ করিয়াছি।" বলিয়া সহসা আপন কক্ষ হইতে ভগ্নদশ বহিস্কৃত ও ভূতের প্রত্যক্ষে স্থাপন করিয়া কহিতে লাগিল, রাজমাতার ভূতচতুদশীর ব্রত উপস্থিত, অচিরাং চরিট ভূত বলিদান করিতে হইবে, আমি রাজ আজ্ঞায় ভূত ধরা এই ভেড়ো কল লইয়া দেশ বিদেশ ভ্রমণে তিনটা ভুত ধরিয়াছি, তোমাকে ধরিয়াই সম্যক রূপে কৃতকার্য্য হইলাম, আর যাও