পাতা:নটনন্দিনী.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেমাবস্থা । bo মহাশয়কে আমি বলিলাম যে “ভুবনমোহিনীর বয়স্কাল উপস্থিত, এখন কি করি বল দেখি ?" তিনি উত্তর করিলেন “তাইত আমিও কিছুই স্থির করিতে পারি নাই, কিন্তু আমার ইচ্ছা একটা মনোমত পত্র পাই ত উহার বিবাহ দিই' আমি বলিলাম “সেত অতি উত্তমই হয়, কিন্তু এটােকুড়ের পাত কি স্বর্গে যায়, ভুবন জন্মাবধিই আমাদের এই সকল অণচণর ব্যবহার দেখিতেছে, এখন কি ও ঘরের বোঁ হইয়া থাকিতে পারে?” । লাহিড়ী মহাশয় আমার কথা শুনিয়া বলিলেন “তবে তোমার মতে এখন কি করা উচিত বল দেখি ?" আমি বলিলাম “এক আমার মতে কি ছয়” লাহিড়ীমহাশয় বলিলেন “ত তোমার মনের কথা কি ? বল না কেন ?? আমি বলিল ম মনের কথা বলি বলি করি আবার ভয় ও হয় তা না বলিলেই বা কি হইবে, যাহা হউক কথাটা কি ? আমাকে অনেকেই অনেক কথা বলে সে সব থাকুক, এক্ষণে জিজ্ঞাসা করি রাধিকামোহন বাবুর ভগব ভঙ্গীতে বোধ হয় ছেলেট মন্দ নয়, তিনি সৰ্ব্বদা আমার কাছে ভুবনের মুখ্যাতি করেন, শুনিলাম মাসে মাসে পঞ্চাশ টাকা দিবেন বলিয়াছেন, কেবল তোমার আমার মতের অপেক্ষ আছে, তা কি বল ?” এ কথায় লাহিড়ীমহাশয়, ক্ষণেক উত্তর না করিয়া মোন হইয়া থাকিলেন, পরে “বিবাহ দেওয়া ন হইলেই অগত্য তাহাই কৰ্ত্তব্য কিন্তু" বলিয়া পুনরায় মৌন হইলেন। আমি বলিলাম “কিন্তু কি ?” তিনি উত্তর করিলেন ‘ না এমন কিছুই নয় তবে অাম দিগের এখানে থাকা"--এই কথা শুনি বা মাত্র বলিলাম “মে কি কথা ? মেয়ে কোন মতেই আমার কাছ ছাড়া করিব না ইহাতে ভাল মন্দ যিনি যাহা বিবেচনা করেন করুন।’ লাহিড়ী