পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नोश-काश्निो। NDoyd এখানকার উৎপন্ন উল্লেখ যোগ্য সামগ্রীর মধ্যে কৃষ্ণনগর ঘূণীর স্বনামখ্যাত “মটীর পুতুল" খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে “সরপুরিয়া,” “সরভাজা, প্রভৃতি প্ৰসিদ্ধ। হরধাম । (নদীয়া-রাজবংশ-হরধাম শাখা ) বাঙ্গালার ইতিহাসে মদীয় রাজবংশ সমগ্ৰ বঙ্গদেশের মধ্যে একটি প্রাচীন ও সম্রান্ত বংশ বলিয়া পরিচিত । এই মহামহিম বংশে যে সকল মহাত্মা জন্মগ্রহণ করিয়াছেন, তঁহাদিগের মধ্যে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নাম সমধিক প্ৰসিদ্ধ। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ৰ নদীয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে তাহার কয়েকটী রাজধানী স্থাপনা করিয়া গ্রামপত্তন করেন। হরধাম এইরূপে তঁহারই স্থাপিত একটী গণ্ডগ্রাম। পূর্বে ইহা বিশেষ সমৃদ্ধিশালী থাকিলেও এক্ষণে ইহার অবস্থা অতি শোচনীয়। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সাক্ষাৎ শোণিত সম্পৰ্কীয় বংশাবলী একমাত্র এখানেই অতি হীন অবস্থায় বিদ্যমান রহিয়াছে। নদীয় রাজবংশের ইতিহাসে উক্ত হইয়াছে যে, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের দুই মহিষী ছিলেন। বড় রাণীর গর্ভে শিবচন্দ্ৰ, ভৈরবচন্দ্ৰ, হরচন্দ্ৰ, মহেশচন্দ্ৰ ও ঈশানচন্দ্ৰ নামে পাঁচ পুত্র এবং অন্নপূর্ণ নামে এক কন্যা জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম রাজ্ঞীর কন্যা অন্নপূর্ণার বংশীয় দিগের মধ্যে কেহ কেহ শিবনিবাসে, কেহ কৃষ্ণনগরে বাস করিতেছেন। ছোট রাণীর গর্ভে কেবলমাত্র শাস্তৃচন্দ্ৰ নামে এক পুত্র এবং বিশ্বেশ্বরী, উমেশ্বরী, দুৰ্গেশ্বরী নামে তিন কন্যা জন্ম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, এই তিন জনের মধ্যে দুৰ্গেশ্বরীর সন্তানের হরধামে বাস করিতেছেন, সুপ্ৰসিদ্ধ কুলীন ব্ৰাহ্মণের আদি স্থান ফুলিয়া গ্ৰাম নিবাসী কুলীন প্ৰধান শ্ৰীগোপাল মুখোপাধ্যায়ের সহিত রাজকুমারী দুৰ্গেশ্বরী দেবীর বিবাহ হয়। তাহার গর্ভে শশিভূষণ, চন্দ্রীভূষণ ও বিধুভুষণ নামে শ্ৰীগোপালের তিন পুত্ৰ জন্মগ্রহণ করেন। মধ্যম পুত্ৰ চন্দ্ৰভূষণের তারাবিলাস নামে এক পুত্ৰ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্বাক্ষমতায় অনেক বিষয়সম্পত্তি করিয়াছিলেন। তারাবিলাসের বৈদ্যনাথ মামে এক পুত্র ও এক কন্যা ছিলেন। তারাবিলাসের পুত্র রায় মধুসূদন মুখোপাধ্যায় মহাশয় পুত্রকন্যাগণসহ এক্ষণে হরধামে ਬ করিতেছেন। উমেশ্বরী নিঃসন্তান এবং বিশ্বেশ্বরীর বংশ ধ্বংস পাইয়াছে। ',