পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नौशा-काहिनी । eð e অর্থাৎ যে সময়ে দোষাঘাতে কুলীনদিগের মধ্যে বিবাদ উপস্থিত হয়, তাহার কিছুকাল পূৰ্ব্বে দ্বিজোত্তম নরসিংহ শান্তিপুরে আগমন করেন। ১২১৯ শকের কিছু পূৰ্ব্বে। এই নরসিংহ কে ছিলেন তাহা লঘু ভারতে এই রূপ লিখিত य८छ् श्थः- • “নরসিংহোপি গৌড়স্য কাৰ্য্যকারক পালিতঃ * নরসিংহ গৌড় বাদাসাহের কাৰ্য্যকারক ছিলেন । টোগলকু বংশীয় গিয়াসুদিনের পৌত্র তৎকালে গৌড়ের বাদসহ ছিলেন। ১৪০৫ খৃষ্টাব্দে তিনি নিহত হয়েন, সুতরাং শান্তিপুরের অস্তিত্ব সাৰ্দ্ধ পঞ্চশত বৎসরেরও উপর স্বীকার করিতে হয়। আর এক কথা, মহম্মদ ব্যক্তিয়ার ১১১৮ খৃষ্টাব্দে নবদ্বীপ অধিকার করেন । প্ৰবাদ আছে তিনি এই শান্তিপুর বয়ড়ার মধ্যৰৰ্ত্তী স্থানে গঙ্গা পার হইয়া নবদ্বীপভিমুখে গমন করেন। এই ঘাট আজিও “বক্তারের ঘাট” নামে প্রসিদ্ধ রহিয়াছে, সুতরাং তখনও অর্থাৎ কিঞ্চিদধিক সাত শত বৎসর পূর্বেও এই স্থান যে বৰ্ত্তমান ছিল তাহ প্ৰমাণিত হইতেছে। শুনা যায় বহুপূৰ্ব্বে এই সকল স্থান গঙ্গার গর্ভবত্তী ছিল; এখনও উহাদের অবস্থান পৰ্য্যবেক্ষণ করিলে স্পষ্টই প্ৰতীতি হইবে যে গঙ্গাগৰ্ভ স্মৃত্তিকাপুৰ্ণ হইয়া শান্তিপুর, ফুলিয়া, বেলগড়ে প্রভৃতি স্থান, অর্থাৎ উলা ও অস্বিকা কালনার মধ্যবৰ্ত্তী স্থান সমুদয় উদ্ধৃত হইয়াছে; এখনও বন্যা বা বর্ষাদি কারণে গঙ্গার জল বৃদ্ধি হইলেই এই সকল স্থানের অধিকাংশই জলমগ্ন হয়, বিশেষতঃ য়াণাঘাট হইতে শান্তিপুর গমনাগমনের যে ‘ফেরীফাণ্ড রোড” নামক রাস্তা আছে তাহার উপর দিয়া যাইবার সময় উভয় পার্থে দৃষ্টিপাত করিলে স্বতঃই উপলব্ধি হইবে যে এই উভয় পার্শ্বস্থ স্থান সমুদয় একটী প্রাচীন বিশাল নদীর খাত ব্যতীত আর কিছুই নহে। প্ৰবল ৰন্যার সময়ে আজিও এই খাতে গঙ্গার প্রবাহ Cሻፍ| ማiጃ ! শাস্তিপুর গ্রাম যে বহুপূর্বকালে জলমগ্ন ভূখণ্ড ছিল তাহার বহু চিকু ও নিদর্শন সময় সময় পাওঁয়া যায়। কুপদি খননকালে এখানে একবিংশতি হন্ত পরিমিত মৃত্তিকার নিম্নদেশ হইতে নৌকাদির ভগ্নাবশেষ বা হাইল এবং শালকাঠ ইত্যাদি নদী বক্ষের চিহ্ন পাওয়া গিয়াছে। রামনগর পাড়ার একটী কুপের তলদেশে, এ* পার্থে একখানি চৌকার কাঠ অন্ধ্যাপি বৰ্ত্তমান মুহিয়াছে। : 8 R *