পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नीझा-काश्नौि । «ტჭY দখলের ফারমান লইয়া দেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন। উক্ত রাজকৰ্ম্মচারীর লিপি কুশলতার পুরস্কার স্বরূপ বাদ সাহ ঠাহাকে “মল্লিক” বা “নুলেখক” আখ্যা প্ৰদান করেন। বাদসহ দত্ত সম্মান ও ভূম্যাধিকার প্রাপ্ত হইয়া শ্ৰীকৃষ্ণ দেশে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করেন । কিন্তু শীঘ্রই তিনি নিঃসন্তান অবস্থায় প্ৰাণ ত্যাগ করিলে প্তাহার যাবতীয় সম্পত্তি কনিষ্ঠ গোপাল প্ৰাপ্ত হয়েন। গোপালের মৃত্যুর পর তৎপুত্র রাঘব পিতৃ রাজ্যের অধিকারী হইয়া মাটীয়ারী হইতে রেউই নামক স্থানে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন ; এই রেউই বৰ্ত্তমান কৃষ্ণনগর। শ্ৰীকুকের মৃত্যু হইলেও কাৰ্য্যদক্ষ বিধায় রাজা গোপাল নারায়ণকে রাজকাৰ্য্য হইতে অবসর দেন নাই, এই সময় হইতেই নদীয়া রাজ বংশের সহিত মল্লিক বংশের একটিী যেন স্থায়ী সম্বন্ধ স্থাপিত হয়। পরবত্তী কালে মাটীয়ারী হইতে কৃষ্ণনগরে রাজধানী স্থানান্তরিত হইলে রাজাগণের সহিত মল্লিকগণও তঁহাদের বাসস্থান উঠাইয়া রেউইতে আসিয়া নূতন বসতবাটী নিৰ্ম্মাণ করেন। এই সময়ে মল্লিকগণের আত্মীয় স্বজন ও অনুগত জন এত অধিক ছিল যে রেউইয়ের যে পল্লীতে আসিয়া তাহারা শত শত রম্য সৌধ শ্রেণী নিৰ্ম্মাণে বসবাস করিতে লাগিলেন তাহা “মরিক পত্নী” বলিয়াই খ্যাত হইয়া উঠিল। রেউই কৃষ্ণনগর নামে পরিবৰ্ত্তিত হইয়াছে এবং প্রাচীন কুকনগরের বহু কল্পনাতীত পরিবর্তন সাধিত হইয়াছে, সঙ্গে সঙ্গে মল্লিক বংশীওগণও কালের ক্রীড়ায় কতক ধ্বংশ। কতক স্থানান্তরিত হইয়া কত দূর দেশে চলিয়া গিয়াছেন, কিন্তু তঁহাদের প্রাতঃস্মরণীয় আদি পুরুষগণের স্থাপিত মল্লিক। পল্লী, তাহদের পরিত্যক্ত সুবিস্তীর্ণ মরিক পুষ্করিণী প্রভৃতি কৃষ্ণনগরে। আজিও তঁহাদের স্মৃতি সম্যক জাগরুক রাখিয়াছে। মল্পিকগণ কৃষ্ণনগরে আসিয়া বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ করিলে নদীয়াধিপতি রাজা রাঘব, মল্লিকবাংশের প্রতি তাহার বংশের স্বভাবগত ভালবাসা ও করুণা প্ৰদৰ্শন করিবার জন্য বংশানুক্রমীক এই বংশীয়গণকে তঁহার প্রধান করদাতৃরূপে অঙ্গীকার করিয়া লয়েন এবং প্রতি বৎসর শুভ পুণাহুর দিনে এই বংশীয়গণের নিকটেই রাজ্যের মধ্যে সর্ব প্ৰথম কয় গ্রহণের নিয়ম প্ৰবৰ্ত্তিত করেন। এই বংশীয়গণ বংশপরম্পরায় । উহাদের ভূস্বামী দত্ত এই সন্মান বহুদিন যাবত ভোগ করিয়া আসিয়াছেন। সম্প্রতি কিছুদিন হইতে এই নিয়মের ব্যতিক্রম সাধিত হইয়াছে। মহারাজ । ইষ্ণচন্দ্ৰেয় সময় পৰ্য্যন্ত রাজ সংসায়ের সহিত এই বৎসীয়গণের বিশিষ্ঠ সন্তাষের