পাতা:নদীয়া-কাহিনী - কুমুদনাথ মল্লিক.pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নদীয়া-কাহিনী । NDC 2) —যিনি মহাপ্রভুর পদাঙ্গুষ্ঠ লেহন মাত্রেই, শৈশবে শাস্ত্ৰ পাঠ ব্যতিরেকে অসাধারণ কবি হইয়া কবিকর্ণপুর নামে খ্যাত হয়েন, সেই ভক্তিময় পুরুষটা এই কাঞ্চনপল্লীতেই জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । বঙ্গৰিখ্যাত শ্রুতিধর নিমচাঁদ শিরোমণি, যিনি জায়শাস্ত্ৰে প্ৰথিতনামা জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননের ভুল্যানুতুল্য বলিয়া খ্যাত, তাহারও জন্মভূমি এই কাঞ্চনপল্লী। এতদ্ব্যতীত বঙ্গভাষাবিং বহু পণ্ডিত ব্যক্তি এই স্থানে জন্ম পরিগ্রহ করেন। প্রভাকর সম্পাদক ঈশ্বরচন্দ্ৰগুপ্ত, . অদ্ভুত রামায়ণ ও তুলসীদাসী রামায়ণের অনুবাদক হরিমোহন সেন গুপ্ত, জ্ঞানানবি গ্ৰন্থ প্রণেতা প্ৰেমচান্দ কবিরত্ব প্রভৃতি অনেক যশস্বী পণ্ডিত এই স্থানে প্ৰাদুৰ্ভত হইয়া নানারূপ অমূল্য গ্রন্থাবলী রচনা দ্বারা ইহার যশঐ সমুজ্জ্বল করিয়া গিয়াছেন । কঁচড়াপাড়া বলিলে সাধারণে কঁাচড়াপাড়া রেলষ্টেসান যেস্থানে স্থাপিত সেই স্থানটিকে মনে করেন, কিন্তু কঁাচড়াপাড়া ষ্টেসানটি অধুনা নদীয়ার সীমা বহির্ভূত। এই কঁচড়াপাড়া বিজাপুরে ই, বি, রেলের গাড়ী প্ৰস্তুতের কলকারখানা স্থাপিত। ১৮১০ খৃষ্টাব্দের জানুয়ারীতে মাননীয় ডিউক অব কনট ও বহু সম্মানপদ প্রিন্স অব ওয়েলস, প্রিন্স এলবার্ট ভিক্টর মহোদয় পক্ষী শীকার উদ্দেশে এখানে ७७ोमन कत्रिशूछिgजन । ou বাগের গ্ৰাম । পাঠানগণ যখন পশ্চিম ভারতে আসিয়া প্রথম রাজ্য সংস্থাপন করেন তখন, তাহারা নিম্ন বঙ্গকে, বাদ ও সুন্দরবনের অস্বাস্থ্যকর জল বায়ুর নিমিত্ত “দোজাকু” বা নরক বলিয়া অভিহিত করিতেন। তঁহাদের বিশ্বাস ছিল এই দেশে বাস করিলে মৃত্যু অনিবার্ঘ্য ; এই বিশ্বাসের বশবৰ্ত্তী হইয়া তাহারা কোনও আমীর বা বিশিষ্ট সন্ত্রান্ত ব্যক্তিকে চুড়ান্ত দণ্ডে দণ্ডিত করিতে হইলে, র্তাহার বংশগৌৱৰ অক্ষুন্ন রাখিতে, দণ্ডিত ব্যক্তির শিরঃচ্ছেদ না করিয়া, মৃত্যু নিশ্চয় জ্ঞালে । ጭፍ এদেশে নির্বাসিত করিতেন। মালোক কাসিম নামে ঐ রূপ এক , चाौद्र হগল্পীর *ব্যবহিত পশ্চিমে আসিয়া বাস করেন। এখনও তথায় তাহার নামে একটা হাট চলিয়া আসিতেছে। মালেক মীর আমেদ বেগ নামে ঐরূপ আর এক