পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ চিত্রকর সদনে জেমসেটুজির সহিত সাক্ষাতের সময় প্রেমজি একবার কল্পনাও করে নাই যে, সহসা তাহার এইরূপ সৌভাগ্যোদয় হইবে । যাহার উদরান্নসংস্থানের কোনও উপায় বর্তমান ছিল না, পরদিন কি খাইয়া দিন কাটিবে এই চিন্তায় যাহার হৃদয় প্রতিমুহূৰ্ত্তে অবসন্ন হইতেছিল, ভীষণ দারিদ্র্যের কশাঘাত অসহ্য মনে করিয়া যে আত্মহত্যায় উদ্যত হইয়াছিল, সে সহসা প্রায় বিনাচেষ্টায় মাসিক তিনশত টাকা বেতনের চাকরী পাইল ।--প্রেমজি প্রথমে বিশ্বাস করিতে পারিল না ইহা সত্য না স্বপ্ন ; কিন্তু অবশেষে যখন সে একমাসের অগ্রিম বেতন হাতে পাইল, তখন সে বুঝিতে পারিল, সত্যই তাহার অদৃষ্ট ফিরিয়াছে, ভাগ্যলক্ষ্মী তাহার প্রতি প্রসন্না হইয়াছেন। ভবিষ্যৎ সুখের কল্পনায় তাহার শুষ্ক নীরস হৃদয় পূর্ণ হইয়া উঠিল, তাহার মস্তিষ্কে মত্তত উপস্থিত হইল, সে আনন্দে আত্মহারা হইয়া জেমসেটুজির আফিস হইতে রাজপথে উপস্থিত হইল ; এবং প্রথমে কোন দিকে যাওয়া যায়, তাহাই ভাবিতে লাগিল । হঠাৎ প্রেমজির মনে পড়িল, সে অত্যন্ত কষ্টে পড়িয়া কিছুদিন পুৰ্ব্বে একজন চিত্রকরের নিকট পচিশটাকা কর্জ লইয়াছিল। অর্থাতাবে