পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ Rరి কর্ণেলিয়া হাসিয়া বলিল, “প্রুবতারা সংসার সমুদ্রের এই ক্ষুদ্র পোতখানিকে কোনও দিন ভুলিয়া থাকিবে না ; তবে সম্প্রতি একটা বড় গণ্ডগোল উপস্থিত। শুনিতেছি দীনস কাওয়াসৃজি দস্তুর আমাকে বিবাহ করিতে উদ্যত হইয়াছেন ।” নওরোজি সবিস্ময়ে বলিলেন, "দীনস। কাওয়াসজি দস্তুর ? বোম্বাইয়ের মধ্যে তিনি যে একজন প্রধান ধনবান ব্যক্তি !” কর্ণেলিয়া বলিল, “ই, তিনি খুব টাকার মানুষ ; কিন্তু আমি তোমাকে আমার মনের কথা বলিয়াছি। বুঝিতে পারিতেছি বাবা ও ম। এ বিবাহের জন্য আমার উপর বড় পীড়াপীড়ি করিবেন ; আমি অণপত্তি করিলে তাহার। আপত্তির কারণ জানিতে চাহিবেন । আমি যে তাহাদিগকে কোনও সন্তোষজনক কারণ দেখাইতে পারিব, তাহার সম্ভাবনা নাই ; কারণ দস্তুরের মত পতি লাভ করা পারসী সমাজের সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ সন্ত্রাস্তবংশীয় রূপবতী কুমারীগণের পক্ষেও বড় অহঙ্কার ও গৌরবের বিষয় । দস্তুর সাহেব কেবল যে অসাধারণ ঐশ্বৰ্য্যবান, ইহাই নহে ; তিনি রূপবান, সুশিক্ষিত, সহৃদয়, প্রেমিক ও রসিক পুরুষ ; এখন স্বামী লাভে কোন যুবতীর অনিচ্ছা ? না, পিতা মাতার কাছে আমার কোনও আপত্তি টিকিবে না । সেইজন্য আমি স্থির করিয়াছি, দস্তুর সাহেবকে আমি স্বয়ং সকল কথা খুলিয়া বলিব ; আমি বলিব, আমি র্তাহার যোগ্য নহি ; বলিব, আমি মহাপাপিষ্ঠ, অন্তের প্রেমে আমি মুগ্ধ ; অন্যের প্রতি অনুরাগে আমার হৃদয় পুর্ণ। অন্যের প্রেমে আসক্ত যুবতীকে কোন বুদ্ধিমান যুবক বিবাহ করিতে সন্মত হইবে ? আমার বিশ্বাস, আমার একথা শুনিলে দস্তুর স্বয়ং এ সম্বন্ধ ভাঙ্গিয়া ফেলিবেন ।”