পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిo নন্দনে নরক আমাকে ভিন্ন সে আর কাহাকেও ভালবাসে না ; আর কাহাকেও ভাল বাসিতে পারিবে না। দুই দিন না যাইতেই সে এমন বিশ্বাসঘাতকতা করিল ! আমাকে ত্যাগ করাই যদি তাহার অভিপ্রায় ছিল, তাহা হইলে মিথ্যা কথা বলিয়া আমাকে ভুলাইয়াছিল কেন ? এত অপ্রিয় কঠিন কথা বলিয়াই বা আমাকে মৰ্ম্মাহত করিবার কি আবশুক ছিল ? আমি বাসায় ফিরিবার সময় কত আশায় উৎফুল্ল হইয়াছিলাম। ভাবিয়াছিলাম আমার ভাল চাকরী হইয়াছে শুনিলে এমিলি কত আনন্দ প্রকাশ করিবে, তাহার নিরাশাপূর্ণ মুখ খানি হাস্তপ্রফুল্ল দেখিয়া আমি কত তৃপ্তি লাভ করিব ; কিন্তু আমার আশার ইন্দ্ৰধনু দেখিতে দেখিতে শূন্যে মিলাইয় গেল ! জানিতাম না এমিলি এমন কঠিনহৃদয় ।” জেমসেটুজি বলিলেন, “তোমার হৃদয়বেদনায় আমি দুঃখিত হইলাম। আমি বৃদ্ধ হইয়াছি, প্রণয় জিনিসটাকে তোমরা যে চক্ষে দেখ আমি তাহা হইতে ভিন্ন চক্ষে দেখি ; আমার মনে হয়, উহা যৌবনের চাপল্য মাত্র, যুবক-যুবতীর উদ্দেশ্যহীন খেলা ৷” প্রেমজি দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিল, “আপনি যাহাই মনে করুন, এমিলিকে আমি জীবনে ভুলিতে পারিব না।” জোসেটুজি ক্রভঙ্গি করিয়া বিরক্তি ভরে বলিলেন, “তুমি বলিতেছ কি ? একটা সামান্ত স্ত্রীলোকের রূপে মুগ্ধ হইয় তোমার জীবনের শত উচ্চভিলাষ, ভবিষ্যৎ উন্নতির সকল আশা ত্যাগ করিতে চাও ? এমিলি তোমার উন্নতি পথের প্রধান প্রতিবন্ধক ছিল । দেখিতেছি তোমার কিছুমাত্র আত্ম সন্মান বা আত্মাভিমান নাই। এমিলি ত তোমাকে স্পষ্টাক্ষরে লিখিয়াছে, সে তোমার সহিত বাস করিয়া দারিদ্র্য,