পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8&め নন্দনে নরক পত্র লেখা হইল না । ইহা যে দস্তুর সাহেবের গাড়ী, তাহা কর্ণেলিয়ার অজ্ঞাত ছিল না । . গাড়ী দেখিয়া কর্ণেলিয়ার মুখ আরক্তিম হইয়া উঠিল ; সে স{গ্রহে দস্তুর সাহেবের আগমনের প্রতীক্ষা করিয়া বসিয়া রহিল । তাহার মনে হইল, পরমেশ্বর তাহার প্রার্থনায় কর্ণপাত করিয়াছেন । কর্ণেলিয় তাহার বিশ্বস্তা পরিচারিকা ইসুবাইকে ডাকিয়া বলিল, “ম এখনও তাহার ঘর হইতে বাহির হন নাই, এখন দুইটা বাজিয়াছে মাত্র ; তিনটার পূর্বে তিনি বাহির হইবেন না। বাবা লাইব্রেরীতে আছেন, দস্তুর সাহেব তাহাকে সংবাদ দিতে না বলিলে এখন কেহই তাহার নিকট যাইতে সাহস করিবে না । এই অবসরে আমি দস্তুর সাহেবকে দুই একটা গোপনীয় কথা বলিতে চাই ; তিনি বাবাকে কি মাকে তাহার আগমন সংবাদ জানাইবার পূৰ্ব্বেই তুই তাহার নিকট গিয় বলু, আমি তাহার সঙ্গে একবার দেখা করিব।” ইমুবাই কর্ণেলিয়ার মনের কথা সকলই জানিত, সে তাড়াতাড়ি নীচে নামিয় গেল। কর্ণেলিয়া বারান্দায় আসিয়া তাহার অভ্যর্থনার জন্য দাড়াইয়া রহিল। দীনস। কাওয়াস জি দস্তুর বোম্বাই সহরের ধনপতি সমাজে কেবল যে মহা সন্মানিত ব্যক্তি, তাহাই নহে। বিদ্বৎ সমাজে ও তাহার অসাধারণ প্রতিপত্তি । র্তাহার বিবাহের বয়স অতিক্রান্ত হইলেও বয়স পায়ত্রিশের অধিক হয় নাই ; তিনি মিষ্টভাষী, সুরসিক, বিজ্ঞান শাস্ত্রে সুপণ্ডিত ও স্ববক্তা। তাহার স্বাস্থ্য অক্ষুধ, মুখখানি সদা প্রসন্ন এবং চক্ষু দুটি প্রতিভার আলোকে প্রদীপ্ত। দস্তুর সাহেব