পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

×ჯNo নঙ্গনে নরক কৃষকবালা আমার সন্ত্রাস্তবংশীয় উদ্ধতা কুলটা অবিশ্বাসিনী পত্নী অপেক্ষা সহস্র গুণ অধিক সন্মান ও শ্রদ্ধার পাত্রী।” আমিনা কাতরস্বরে বলিলেন, “আমাকে দয়া কর, ক্ষমা কর, আর বাক্যবাণে বিদ্ধ করিও না ; আমি কুলটা নহি, অবিশ্বাসিনী নহি, কেন তোমার এ অন্যায় সন্দেহ ?” মেটা সাহেব বলিলেন, “আগে আমাকে সকল কথা বলিতে দাওঁ । আমি দাদাচানজিকে বধ করিলাম, যে যুবতী তাহাকে ভালবাসিত, আমি স্বহস্তে তাহার সকল সুখ, সকল আশা নষ্ট করিলাম। দাদাচানজির মৃত্যুকালে, যুবতী গর্ভবতী ছিল,অল্প দিনের মধ্যেই তাহার এক সন্তান ভূমিষ্ঠ হইল ; যুবতীর পিতা কলঙ্কিনী জ্ঞানে কন্যাকে গৃহ হইতে তাড়াইয়া দিল। অভাগিনী তাহার নবপ্রস্থত পুত্রটিকে লইয়া স্বারে দ্বারে ভিক্ষা মাগিয়া ফিরিতে লাগিল, কিন্তু দুশ্চারিণী ভাবিয়া তাহার প্রতি কাহারও দয়া হইল না, সকলেই তাহাকে দ্বারপ্রাস্ত হইতে তাড়াইয়া দিল । সমাজের এই অত্যাচারে মাতা ও সন্তান উভয়েই হয়ত অকালে প্রাণত্যাগ করিত ; কিন্তু আমি তাহদের দুরবস্থার সংবাদ পাইয় আমার পাপের কথঞ্চিৎ প্রায়শ্চিত্ত করিলাম, তাহাদের ভরণ পোষণের ভার গ্রহণ করিলাম। যতদিন পর্য্যস্ত এই বালক বয়ঃপ্রাপ্ত হয় নাই, ততদিন আমি তাহাদের ভরণ পোষণের সকল ব্যয় বহন করিয়াছি।” so এই সকল কথা বলিতে বলিতে মেটা সাহেব যেন উন্মত্তের মত হইয়া উঠিলেন, নিষ্ঠুর প্রতিহিংসার আনন্দে তাহার হৃদয় পূর্ণ হইয়। উঠিল; তাহার প্রতি লোমকূপ হইতে যেন বিদ্যুতের স্রোত বহিতে