পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ぬ9 নমদনে নরক যুবক উঠিয়া একটি আলমারির দেরাজ খুলিলেন, এবং দশ টাকার কুড়িখানা নোটের একটি তাড়া আমার মুখের উপর নিক্ষেপ করিয়া বলিলেন, “পত্ৰখানি রাখিয়৷ এই টাকা লইয়া এখনই চলিয়৷ যাও ।” “নোটগুলি লইয়া আমি সেখান হইতে বাহির হইয়। আসিলাম বটে, কিন্তু অপমানে, লজ্জায় ও ঘৃণায় আমি উন্মত্তবৎ হইয়া উঠিলাম ; আমার পদতল হইতে যেন পৃথিবী সরিয়া সরিয়া যাইতে লাগিল । আমি কুকৰ্ম্ম করিয়াছিলাম সন্দেহ নাই, কিন্তু আমি তাহ সহজে করি নাই, এবং আমার মনও তখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল ন । আমার প্রিয়তম। তখন মৃত্যুশয্যাশায়িনী, তাহার উদরে অন্ন নাই, চিকিৎসক ডাকাইবার সামর্থ্য নাই, এবং কখন তাহার জীবনদীপ নিৰ্ব্বাপিত হইবে তাহারও স্থিরতা নাই ; আমি পাপ পুণ্যের বিচার পরিত্যাগ করিয়া গৃহমুখে ধাবিত হইলাম । গৃহ হইতে যখন বাহির হইয়াছিলাম, তখন আমি সচ্চরিত্র ধৰ্ম্মভীরু সাধু যুবক, কয়েক ঘণ্ট। পরে যখন গৃহে ফিরিলাম,তখন আমি প্রতারক প্রবঞ্চক তস্করের অধম । একটা দোকান হইতে কয়েকখান নোট ভাঙ্গাইয়া লইয়। আমি আমার জীর্ণ কুটীরে উপস্থিত হইলাম ; সেখানে আমার বন্ধুদ্বয় ব্যাকুলভাবে আমার প্রতীক্ষা করিতেছিলেন ; আমাকে দেখিয় তাহার। খুব আনন্দ প্রকাশ করিলেন, এবং আমার হাত ধরিয়া তঁহাদের কাছে বসাইতে উদ্যত হইলেন। আমি দুই হাতে র্তাহাদের ঠেলিয়া ফেলিয়া বলিলাম, ‘সরিয়া যাও, তোমরা আমাকে স্পর্শ করিও না ; আমি নীচ, অধম, কলুষিত ; আমি ঘোর প্রবঞ্চক,আমি কোনও সাধু ব্যক্তির ছায়া স্পর্শের