পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ পরিচ্ছেদ Վծ (: এবার দস্তর সাহেবের ধৈৰ্য্যের বাধ ভাঙ্গিয়া গেল, ক্রোধে ক্ষণকালের জন্য তিনি আত্মবিস্মৃতি হইলেন, আরক্তিম মুখে বিরক্তিভরে তিনি সি ড্রীর দিকে অগ্রসর হইলেন । কিন্তু তাহার ক্রোধ অধিক কাল স্থায়ী হইল না ; তৎক্ষণাৎ তিনি ফিরিয়া আসিয়া বলিলেন, “নওরোজি, আমি তোমার সহিত যে কপটাচরণ করিয়াছি, আমার সে ব্যবহার তুমি মার্জনা কর। আমি স্বীকার করিতেছি, এরূপ ব্যবহার আমার পক্ষে সঙ্গত হয় নাই ; সৰ্ব্বপ্রথমেই তোমাকে আমার নাম জানান উচিত ছিল ; আমি সকলই জানি।” নওরোজি জড়িত স্বরে বলিলেন, “আমি আপনার কথার মৰ্ম্ম বুঝিতে পারিলাম না।” দস্তুর সাহেব বলিলেন, “তুমি বিলক্ষণ বুঝিতে পারিয়াছ, সত্যই আমার এ অপমানের জন্য আমিই দায়ী। তুমি নিশ্চিন্ত হও, কর্ণেলিয়া সরল ভাবে সকল কথা আমাকে খুলিয়া বলিয়াছে ; বোধ হয় আমার কথা তোমার বিশ্বাস হইতেছে না, কিন্তু এ কথা সত্য ; তোমার ঐ:পর্দা-ঢাকা ছবিখানি যে কর্ণেলিয়ার ছবি, ইহা আমি তাহার মুখেই শুনিয়াছি । আরও শুন, কর্ণেলিয়ার অনুরোধেই আমি গত কল্য আমার সহিত তাহার বিবাহের সম্বন্ধ ভাঙ্গিয় তাহার পিতাকে পত্র, লিখিয়াছি।” () নওরোজি অতঃপর দস্তুর সাহেবকে কি বলিবেন, তাহা ভাবিয়া পাইলেন না ; দস্তুর সাহেবের মহত্ত্বে ও সহৃদয়তায় তিনি মুগ্ধ হইলেন ; অবশেষে বলিলেন, “মহাশয়, আমার রূঢ়তা মার্জনা করিবেন, মনুষ্য সমাজে আপনার স্থায় মহৎ হৃদয় ব্যক্তি এ কাস্ত দুলভ।”