পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२५० নন্দনে নরক চট্টপটেও ; যদি উহার বুদ্ধি থাকিত, তাহা হইলে এতদিন বেশ গুছাইয় লইতে পারিত।” 會 কিন্তু একথা প্রেমজির কর্ণে প্রবেশ করিল না, সে তখনও নতমুখে চিস্তা করিতেছিল। সকল ঘটনাই তাহার নিকট ইন্দ্রজালের মত বোধ হইতে লাগিল । তাহারা অনাহারে মরিতেছে, এমন সময় একজন অপরিচিত লোক আসিয়া অযাচিতভাবে মহা আগ্রহে এক শত টাক। কৰ্জ্জ দিল ! এ কি বিধাতার দান ? পরমেশ্বরের প্রসন্নত তাহার নিকট এত সহজ লভ্য মনে হইল না । সে ভাবিতে লাগিল লোকটার অভিপ্রায় কি? পরদুঃখে দয়া প্রদর্শনই কি তাহার উদ্দেশ্য ? না, উহার কোনও গুপ্ত অভিসন্ধি আছে ?--কিন্তু তাহার মত দরিদ্র দ্বারা তাহার কি গুপ্ত অভিসন্ধি সিদ্ধ হইতে পারে ?—কিছুই স্থির করিতে না পারিয়া—প্রেমজি হীরাজির দিকে চাহিয়া বলিল, “ন। মহাশয়! আমি বেকার বসিয়া আছি, আপনার ঋণ পরিশোধ করি এরূপ আমার শক্তি নাই ; আপনি যাহাই বলুন, আমি আপনার টাকা লইতে পারিব না।” হীরাজি প্রেমণির আরও কাছে সরিয়া গিয়া বলিল, “তোমঞ্জর তে ভাই, হিসাব বোধ বড় কম। তুমি উমেদার, বেকার বসিয়া আছ বলিলে ন –নিজের উপর তোমার বিশ্বাস নাই, তাই তোমার এ দুৰ্দশা! তুমি নিজেকেই যখন বিশ্বাস করিতে পার না, তখন অঙ্গে তোমাকে বিশ্বাস করিয়া কাজ দিবে, ইহা কিরূপে আশা করিতেছ ? আমি বলিতেছি তুমি এ টাকা রাখ ; বাইসাহেব বুঝিয়া-সুকিয়াই |নোটখানি লইয়া গিয়াছে।” 렇 “লইয়া গিয়াছে!”—প্রেমজি সবিস্ময়ে এই কথা জিজ্ঞাসা করিল।