পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ ՀԳԳ য়াছি। কার্য্যের ফল দেখিয়া কারণ অনুসন্ধান করা কিছুমাত্র কঠিন নহে ।” ডাক্তার বলিলেন, “তাহা হইলে বল না কেন আমাদের সঙ্কল্পের মূলে কুঠারাঘাত হইয়াছে।” হীরাজি বলিল, “না, সে কথা আমি স্বীকার করি না, দুক্ষর সাধনায় দুলঙ্ঘ্য বিঘ্ন উপস্থিত হয়, সেই সকল বিস্ত্র অতিক্রম করাই কার্য্যোদ্ধারের উপায়, হতাশ হইয়া কাজ ছাড়িয়া সরিয়৷ দাড়াইলে কার্য্যোদ্ধারের কোনও আশা থাকে না। আমাদিগকে কাৰ্য্যোদ্ধার করিতেই হইবে । এখন তোমার পরামর্শ কি বল।” ডাক্তার বলিলেন, “আমার বিবেচনায় এ পথ পরিত্যাগ করিয়৷ বিষয়ান্তরে মন দেওয়াই কৰ্ত্তব্য ; মেট সাহেবের কন্যার সহিত যাহারই বিবাহ হউক, সেই চিন্তায় আমাদের আর মাথা ঘামাইবার আবশ্যক নাই । যাহাতে ধরা পড়িবার ভয় নাই, অথচ বেশ দু’পয়সা সংগ্রহের আশা আছে, এমন কোন কাৰ্য্য—” ডাক্তার হঠাৎ হীরাজির মুখের দিকে চাহিলেন। তাহার ক্ৰকুটকুটিল ক্রোধপূর্ণ মুখ দেখিয় তাহার বাক্যস্রোতে বাধা পড়িল, তিনি কুষ্ঠিতভাবে বলিলেন, “আমার কথাগুলি বোধ হয় তোমার ভাল লাগিতেছে না। কিন্তু সুমি কি, কোনও অসঙ্গত কথা বলিয়াছি ?” হীরাজি বলিল, “অসঙ্গত না হইতে পারে, কিন্তু আসার বটে ; ইহ নিতান্ত নিৰ্ব্বোধের মত কথা ।” ডাক্তার বলিলেন, “কেন ?” হীরাজি বলিল, “এতদূর অগ্রসর হইয়া এখন জাল গুটাইয়া সরিয়া