পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

అe 8 নন্দনে নরক ও প্রাণপণ চেষ্টায় আমি আমার ধনভাণ্ডারে লক্ষ লক্ষ টাকা সঞ্চিত করিয়াছি, এত টাকা অনেক ধনাঢ্যের গৃহেই নাই, একথাও আমি অস্বীকার করি না ; কিন্তু ভবিষ্যদ্বংশীয়গণের গৌরব ও সন্ত্রম রক্ষার জন্য তাহার পরিমাণ কত অল্প ! এ যুগে আর প্রাচীন ভূম্যধিকারী গণের পূর্ব মানসন্ত্রম বর্তমান নাই, বণিক সম্প্রদায় এখন দেশের সৰ্ব্বাপেক্ষা সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি হইয়া উঠিতেছে ; সৰ্ব্ব বিষয়ে তাহাদের সহিত প্রতিযোগীতা করিবার জন্য সৰ্ব্বদা বিপুল অর্থের প্রয়োজন ; অর্থই সংসারে জীবনসংগ্রামে সাফল্য লাভের প্রধান অস্ত্র ; আমার বা তোমার ব্যয়কুণ্ঠ আমাদের ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণ হইতে পারে, কিন্তু ইহাতে প্রাচীন এজরা বংশের উত্তরাধিকারীগণের কল্যাণ হইবে।” ক্ষণকাল নিস্তন্ধ থাকিয়া এজরা সাহেব পুনৰ্ব্বার বলিতে লাগিলেন, আমার অনেক বয়স হইয়াছে, একাল পর্য্যন্ত আমি সংসারের সকল প্রলোভন তুচ্ছ করিয়া, সকলের নিন্দ ও কুৎসা উপেক্ষা করিয়া একান্ত মনে আমার সংকল্প সাধন করিয়া আসিয়াছি ; আমি বৃদ্ধ হইয়াছি, এখন তোমার কর্তব্য পালনের সময় আসিয়াছে । আমি যে পথে চলিয়াছি তোমাকেও সেই পথে অগ্রসর হইতে হইবে ; কোনও লক্ষপতির একমাত্র দুহিতার পাণিগ্রহণ এখন তোমার প্রধান কৰ্ত্তব্য। তোমার পুত্র তাহার মাতামহের ত্যক্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইবে। এই উপায়ে আমি তোমাকে তোমার মাতামহের যে সম্পত্তির উত্তরাধিকারী করিয়াছি, তাহার পরিমাণ অল্প নহে। তুমিও আমার পন্থার অনুসরণ কর।—আমি এত দিন তোমাকে এ সম্বন্ধে কোনও কথা বলি নাই ; কিন্তু এখন তোমার বয়স হইয়াছে, এখন আর তোমার নিকট