পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । ©Ꭹ ☾ কিন্তু যদি কেহ তাহার গতিবিধির সন্ধান লইত, তাহা হইলে জানিতে পারিত, যে পল্লীতে এজরা সাহেবের বাস, সেই পল্লীতেই আমিনার রোগীর সংখ্যা অধিক । একদিন অপরাহ কালে বৃদ্ধ এজরা সাহেব বায়রামজিকে ডাকিয়৷ কথাপ্রসঙ্গে বলিলেন, “সম্পত্তি রক্ষা করিতে হইলে, তাহার উন্নতি করিতে হইলে, সংসারে কিরূপ কষ্টসহ, সহিষ্ণু ও মিতব্যয়ী হওয়া আবশ্বক, দীর্ঘকাল হইতে তাহ। আমি তোমাকে শিখাইয়াছি ; আমার আশা আছে, জীবনে তুমি এ শিক্ষণ ধিস্থত হইবে না। এখন আমি তোমার উপর কতকগুলি দায়িত্বপূর্ণ কাজের ভার দিব ; আমার পরিবর্তে এখন হইতে তুমি সকল কাজকৰ্ম্মের পরিদর্শন ভার গ্রহণ করিবে । কেমন করিয়া সকল কাজ চালাইতে হয় , তাহ হাতে কলমে শিখিয়া লও। তুমি জীবনের নূতন সোপানে পদার্পণ করিলে। কঠোর পরীক্ষায় তুমি উত্তীর্ণ হইয়াছ, তাহার নিদর্শন স্বরূপ আমি তোমাকে কিছু উপহার দিব ।” এজর সাহেব উঠিয়া গিয়া একটি সুন্দর বন্দুক ও একটি উৎকৃষ্ট শিকারী কুকুর লইয়া আসিলেন, এবং তাহা বায়রামকে উপহার দিয়া বলিলেন, “যাও, আজ তোমার শিকারের ছুটী ।” বায়রামজি বন্দুক ও কুকুর লইয়া মহানন্দে সেই স্থান হইতে অদৃপ্ত হইল । এজরা সাহেব মনে মনে বলিলেন, "ছেলেটা সত্যই কি বিগড়াইতেছিল ? কিছুই বুঝিতে পারিলাম না।” υψαμπαλπα