ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ফাদ যুগয়া-শেষে বাড়ী ফিরিয়া বায়রামজি শুনিতে পাইল, জিজিভাই রেডিমণি অনেক পূৰ্ব্বেই তাহাদের গৃহে উপস্থিত হইয় তাহার পিতার সহিত গল্প করিতেছেন। বায়রামজি পিতৃসন্নিধানে উপস্থিত হইলে, এজর সাহেব পুত্রকে র্তাহার সহিত পরিচিত করিয়া দিলেন । সেই রাত্রেই আহারাদির পর, বিবাহের কথাবাৰ্ত্ত স্থির হইয় গেল । স্থির হইল, রেডিমণি তঁহার কন্যার বিবাহে পাচ লক্ষ টাকা যৌতুক দিবেন। এজরা সাহেবের ইচ্ছা ছিল, যৌতুকের পরিমাণ আরও কিছু অধিক হয়, কিন্তু এজরা সাহেব সে জন্য পীড়াপীড়ি করিলেন না ; কারণ, তিনি জানিতেন রেডিমণির একমাত্র কন্যাই ভবিষ্যতে তাহার সমস্ত পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণী হইবে । রেডিমণি প্রস্থান করিলে, এজর সাহেব বায়রামজিকে বলিলেন, “এ লোকটি অত্যন্ত বুদ্ধিমান ; জৰ্ম্মনীতে পশমের ব্যবসায় করিয়া অল্পদিনের মধ্যেই ইনি অগাধ সম্পত্তির অধিকারী হইয়াছেন । ধৰ্ম্ম পথে থাকিয় এত অল্প দিনের মধ্যে অধিক লোক এমন ধনবান হইতে পারে না । জমিদার ও তালুকদারের একালে ক্রমশঃই অস্তঃসারশূন্ত হইয়। পড়িতেছে ; অধিকাংশ জমিদারের ঘরেই পয়সা নাই, কেবল পূৰ্ব্বপুরুষের সুনাম ও কতকগুলা ঋণ লইয়া তাহার এখন পৰ্য্যন্ত সমাজে আধিপত্য